Featured Post

বিবেক কাকে বলে

Image
 ইসলামের বিবেক বলতে বুঝানো হয় মানুষের মূল্যবোধ শক্তি। একজন প্রকৃত মানুষ হতে গেলে তাকে বিশ্বাস, আচরণ, মানসিকতা, সর্বোপরি তো মর্যাদায় পরিপূর্ণ থাকতে হয়  বিবেক: সমাজে এক শ্রেণীর মানুষ আছে তারা সব সময় মানুষের সমালোচনা করে এবং বিবেককে ফাঁকি দেয়। যারা একে অপরকে ঠকায় এবং অর্থ নিয়ে না দেয়ার চেষ্টা করেন এবং বিবেককে ফাঁকি দেয় তখন সমাজে তাকে বিবেকহীন মানুষ বলে।  অন্য দিকে একজন মানুষ প্রকৃত ঈমানদার এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সব পথে চলা অশ্লীল কাজ থেকে বিরত থাকা মানুষকে ঈমানের পথে আনা মানুষকে সঠিক পথে চলার দিকনির্দেশনা অর্থাৎ ইসলামের সঠিক পথ নির্দেশনা দেয় তাকে বিবেকবান মানুষ বলে।  বিবেকের গুরুত্ব: প্রত্যেক শ্রেণীর মানুষ সমাজের জীবনযাপন করে। আপনারা প্রায় খেয়াল করে দেখবেন আপনার প্রতিবেশী আপনাকে পছন্দ করে না। তার মানে এই নয় আপনি সমাজে নষ্ট হয়ে গেছেন অথবা পচে গেছেন। আপনি কোন দিকে টাকা উপার্জন করে পরিবার চালান কিন্তু আপনি কারো ধার ধরেন না। এজন্য আপনার প্রতি বেশি আপনাকে পছন্দ করে না। অনেক সময় আমরা দেখতে পাই মানুষের উন্নতি দেখলে অন্যদের হিংসাক্ত তো মনোভাব হয়। আপনারা প্রায় ল...

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ যেভাবে এলো

 মেরাজের কথা কম-বেশি সবারই জানা। মেরাজের সফরে আল্লাহ তাআলা উম্মতে মুহাম্মাদির জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করে দিয়েছেন। ইসলামের ইতিহাসে হাদিসের বর্ণনায় সে ঘটনা সুন্দর ভাবে ফুটে ওঠেছে। কীভাবে ফরজ হয়েছিল পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ?

          পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ যেভাবে ফরজ হলো


হাদিসের দীর্ঘ বর্ণনায় নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ হওয়ার বিষয়টি সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন


পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ হলো যেভাবে

মেরাজের কথা কম-বেশি সবারই জানা। মেরাজের সফরে আল্লাহ তাআলা উম্মতে মুহাম্মাদির জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করে দিয়েছেন। ইসলামের ইতিহাসে হাদিসের বর্ণনায় সে ঘটনা সুন্দর ভাবে ফুটে ওঠেছে। কীভাবে ফরজ হয়েছিল পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ?


হাদিসের দীর্ঘ বর্ণনায় নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ হওয়ার বিষয়টি সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন-

              যেভাবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ এলো



হজরত ইবনে হায্ম ও আনাস ইবনে মালেক রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন যে ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ...আল্লাহ আমার উম্মতের ওপর ৫০ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করে দিলেন। আমি সেটা নিয়ে ফিরে আসি। মুসা আলাইহিস সালামকে অতিক্রম করার সময় তিনি বললেন, আল্লাহ আপনার উম্মতের ওপর কী ফরজ করেছেন? প্রশ্নে তিনি বললেন আমি বলেছিলাম ৫০ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছিলেন। প্রশ্নে তিনি বললেন আপনি আপনার সৃষ্টিকর্তার কাছে ফিরে যান। আপনার বান্দা তো আলম করতে পারবে না। তখন আমি ফিরে গেলাম। পক্ষান্তরে আল্লাহ তাআলা সেই পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামাজ কমিয়ে দিলেন। আমি মুসা আলাইহিস সালামকে পার হওয়ার সময় বললাম, কিছুটা অংশ (আল্লাহ) কমিয়ে দিয়েছেন। তিনি বললেন, আপনি আবার আপনার রবের কাছে ফিরে যান। কারণ আপনার উম্মত এটুকুও আদায় করতে পারবে না। আমি ফিরে গেলাম।


তখন আরও কিছু অংশ কমিয়ে দেওয়া হলো। আবারও মুসা আলাইহিস সালামএর কাছে গেলাম। এবারও তিনি বললেন, আপনি আবার আপনার প্রতিপালকের কাছে যান। কারণ আপনার উম্মত এও আদায় করতে পারবে না। তখন আমি আবার গেলাম। তখন আল্লাহ বললেন, এই পাঁচটিই (পূণ্যের হিসাবে) ৫০ (বলে গণ্য হবে)। আমার কথার কোনো রদবদল হয় না। আমি আবার মুসা আলাইহিস সালামএর কাছে গেলে তিনি আমাকে আবারও বললেন, আপনার প্রতিপালকের কাছে আরেকবার যান। আমি বললাম, আরেকবার আমার প্রতিপালকের কাছে যেতে আমি লজ্জাবোধ করছি। তখন জিবরিল আলাইহিস সালাম আমাকে সিদরাতুল মুনতাহা পর্যন্ত নিয়ে গেলেন। সে সময় সেটি নানা রঙে রঞ্জিত ছিল। আমি এর তাৎপর্য সম্পর্কে অবগত ছিলাম না।’ (বুখারি ৩৪৯)

এরপর থেকে প্রত্যেক মুসলমানের জন্য দিনে ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়া ফরজ বা অবশ্যক কর্তব্য। এই পাঁচ ওয়াক্ত হলো- ফজর, জোহর, আসর, মাগরিব ও ইশা।


কীভাবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ হলো বুখারির এ বর্ণনায় সুস্পষ্টভাবে ফুটে ওঠেছে। হাদিসের পুরো বর্ণনাটি ছিল এমন

হজরত আবু যার রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বর্ণনা দেন, ‘আমি মক্কায় থাকা অবস্থায় আমার ঘরের ছাদ খুলে দেওয়া হলো। তারপর জিবরিল আলাইহিস সালাম এসে আমার বক্ষ বিদীর্ণ করলেন। আর তা জমজমের পানি দিয়ে ধুয়ে দিলেন। এরপর হিকমত ও ঈমানে ভর্তি একটি সোনার পাত্র নিয়ে এসে আমার বুকের মধ্যে ঢেলে দিয়ে বন্ধ করে দিলেন। এরপর আমাকে হাত ধরে দুনিয়ার আকাশের দিকে নিয়ে চললেন।


দুনিয়ার আকাশে পৌঁছে জিবরিল আলাইহিস সালাম আসমানের রক্ষককে বললেন, দরজা খোলো। আসমানের রক্ষক বললেন, আপনি কে? জিবরিল আলাইহিস সালাম বললেন, আমি জিবরিল আলাইহিস সালাম। (আকাশের রক্ষক) বললেন, আপনার সঙ্গে কি কেউ রয়েছেন? জিবরিল আলাইহিস সালাম বললেন, হ্যাঁ, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রয়েছেন। রক্ষক তখন বললেন, তাঁকে কি ডাকা হয়েছে? জিবরিল আলাইহিস সালাম বললেন, হ্যাঁ।

               পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ যেভাবে এলো 


এরপর যখন আমাদের জন্য দুনিয়ার আসমান খুলে দেওয়া হলো, আর আমরা দুনিয়ার আসমানে প্রবেশ করলাম, তখন দেখি সেখানে একজন বসে আছেন যাঁর ডানে এবং বাঁয়ে অনেকগুলো মানুষের আকৃতি রয়েছে। তিনি ডানদিকে তাকালে হেসে উঠছেন, আর বাঁয়ে তাকালে কাঁদছেন। তিনি বললেন, স্বাগত, হে সৎ নবি ও সৎ সন্তান। আমি জিবরিল আলাইহিস সালাম কে প্রশ্ন করলাম, এই ব্যক্তিটি কে? তিনি জবাব দিলেন, ইনি আদম আলাইহিস সালাম। তাঁর ডানে-বাঁয়ে রয়েছে তাঁর সন্তানদের রুহ। ডান দিকের লোকেরা জান্নাতি, বাঁ দিকের লোকেরা জাহান্নামি। তাই ডানে তাকালে তিনি হাসছেন, বাঁয়ে তাকালে কাঁদছেন।

এরপর জিবরিল আলাইহিস সালাম আমাকে নিয়ে দ্বিতীয় আসমানে উঠলেন। তারপর এর রক্ষককে বললেন, দরজা খোলো। তখন এই রক্ষক প্রথম রক্ষকের মতোই প্রশ্ন করলেন। পরে দরজা খুলে দেওয়া হলো।’


হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ‘আবু যার রাদিয়াল্লাহু আনহু উল্লেখ করেন যে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আসমানগুলোতে আদম আলাইহিস সালাম, ইদ্রিস আলাইহিস সালাম, মুসা আলাইহিস সালাম, ঈসা আলাইহিস সালাম ও ইবরাহিম আলাইহিস সালামের সাক্ষাৎ পান।


তবে আবু যার রাদিয়াল্লাহু আনহু সেসব স্থান সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করেননি। শুধু এটুকু উল্লেখ করেছেন যে তিনি আদম আলাইহিস সালামকে দুনিয়ার আকাশে ও ইব্রাহিম আলাইহিস সালামকে ষষ্ঠ আকাশে পেয়েছিলেন।’

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উর্ধ্ব জগতের সেই সফরে আল্লাহর পক্ষ থেকে উম্মতের জন্য উপহার স্বরূপ পেয়েছেন ৫ ওয়াক্ত নামাজ। যা প্রতিদিন আদায় করা মুমিন মুসলমানের জন্য আবশ্যক। মেরাজের প্রস্তুতি ও প্রাপ্তি নিয়ে এভাবে বিশদ বর্ণনা হাদিসের বর্ণনায় এভাবেই ওঠে এসেছে।


সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, ফরজ হওয়া ৫ ওয়াক্ত নামাজ যথাযথভাবে আদায় করা। ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার মাধ্যমেই ৫০ ওয়াক্ত নামাজের সাওয়াব পাওয়ার আমল অব্যাহত রাখা।


ইসলামিক বার্তা


Comments

Popular posts from this blog

সূরা ফাতিহার অর্থ এবং ফজিলত

তারাবির নামাজ না পড়লে রোজা হবে কি ?

বৃদ্ধাশ্রমের বৃদ্ধ বাবা মায়ের জীবন !