Featured Post

বিবেক কাকে বলে

Image
 ইসলামের বিবেক বলতে বুঝানো হয় মানুষের মূল্যবোধ শক্তি। একজন প্রকৃত মানুষ হতে গেলে তাকে বিশ্বাস, আচরণ, মানসিকতা, সর্বোপরি তো মর্যাদায় পরিপূর্ণ থাকতে হয়  বিবেক: সমাজে এক শ্রেণীর মানুষ আছে তারা সব সময় মানুষের সমালোচনা করে এবং বিবেককে ফাঁকি দেয়। যারা একে অপরকে ঠকায় এবং অর্থ নিয়ে না দেয়ার চেষ্টা করেন এবং বিবেককে ফাঁকি দেয় তখন সমাজে তাকে বিবেকহীন মানুষ বলে।  অন্য দিকে একজন মানুষ প্রকৃত ঈমানদার এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সব পথে চলা অশ্লীল কাজ থেকে বিরত থাকা মানুষকে ঈমানের পথে আনা মানুষকে সঠিক পথে চলার দিকনির্দেশনা অর্থাৎ ইসলামের সঠিক পথ নির্দেশনা দেয় তাকে বিবেকবান মানুষ বলে।  বিবেকের গুরুত্ব: প্রত্যেক শ্রেণীর মানুষ সমাজের জীবনযাপন করে। আপনারা প্রায় খেয়াল করে দেখবেন আপনার প্রতিবেশী আপনাকে পছন্দ করে না। তার মানে এই নয় আপনি সমাজে নষ্ট হয়ে গেছেন অথবা পচে গেছেন। আপনি কোন দিকে টাকা উপার্জন করে পরিবার চালান কিন্তু আপনি কারো ধার ধরেন না। এজন্য আপনার প্রতি বেশি আপনাকে পছন্দ করে না। অনেক সময় আমরা দেখতে পাই মানুষের উন্নতি দেখলে অন্যদের হিংসাক্ত তো মনোভাব হয়। আপনারা প্রায় ল...

জান্নাতে কার পায়ের আওয়াজ শুনতে পেয়েছিলেন রাসুল সা:

 মেরাজের রাত্রে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম জান্নাত পরিদর্শনের সময় হযরত বেলাল ইবনে রাবাহ রা: এর পায়ের আওয়াজ শুনতে পেয়েছেন। সেখান থেকে ফিরে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম হযরত বেলাল রা: কে জিজ্ঞেস করেছিলেন বেলাল ইসলাম গ্রহণের পর তুমি এমন কোন কাজ করেছিলে যে কারণে তুমি জান্নাতে পৌঁছে গেলে। কারণ গত রাতে আমি জান্নাতে প্রবেশ পড়ার পর তোমার পায়ের শব্দ শুনতে পেয়েছি। 

 জান্নাতে কার পায়ের আওয়াজ শুনতে পেয়েছিলেন রাসুল সা:

হজরত বেলাল রা: বললেন ইয়া রাসুল আল্লাহ আমি এমন কিছুই করিনি তবে আমি কোন গুনাহের কাজ করলে সঙ্গে সঙ্গে দুই রাকাত নামাজ পড়ি। আর অজু চলে গেলে সঙ্গে সঙ্গে দুই রাকাত নামাজ আদায় করি।


কৃষ্ণাঙ্গ সাহাবি হজরত বেলাল (রা.)–র জন্ম মক্কায়। তবে তিনি ছিলেন আবিসিনিয়ার (বর্তমান ইথিওপিয়া) বংশোদ্ভূত। মক্কার প্রভাবশালী কুরাইশ নেতা উমাইয়া ইবনে খালফের ক্রীতদাস ছিলেন তিনি। কুরাইশদের চোখে ক্রীতদাস হিসেবে বেলালের রা. পবিত্র ইসলাম গ্রহণ ছিল চরম দৃষ্টতা। পর্যায়ক্রমে শত বছরের বিশ্বাস চিন্তা অভিজাতদের প্রতি চরম আঘাত হানে।


হজরত বেলাল রা: এর মনির উমাইয়া ইসলাম গ্রহণের কথা জানতে পেরে তাকে ইসলাম ত্যাগের জন্য কঠিন শাস্তি দিতে থাকেন। তাকে বিফল হওয়া উমাইয়ার নির্দেশে বেলাল রা: এর উপর শুরু হয় জুলুম এবং নিষ্ঠুর নির্যাতন। কখনো কখনো মরুভূমির প্রখর উত্তাপ বালুতে আবার কখনো অঙ্গারের উপর শুয়ে রাখা হতো। নৃশংসভাবে গলায় উত্তপ্ত রশি দিয়ে বেঁধে মক্কার অলিতে গলিতে টানা হেচড়া করে নিয়ে যাওয়া হতো। আবার কখনো বুকের উপর অনেক বড় পাথর দিয়ে আঘাত করা হতো।



এত নির্যাতনের মধ্যেও হজরত বেলাল (রা.) শুধু আহাদ, আহাদ (আল্লাহ এক, আল্লাহ এক) বলে চিৎকার করতেন। একদিন বাতহা উপত্যকায় বেলাল (রা.)–এর অত্যাচার চলছিল। আবু বকর (রা.) যাচ্ছিলেন সে পথ ধরে। ঘটনা দেখে তিনি ভীষণ মর্মাহত হলেন। মোটা অঙ্কের অর্থ উমাইয়াকে দিয়ে বেলাল (রা.)-কে তিনি তাঁর কাছ থেকে কিনে নিলেন। বেলাল (রা.) মুক্তি পেলেন দাসের জীবন থেকে।



বদর, উহুদ, খন্দক যুদ্ধসহ সব সামরিক অভিযানেই হজরত বেলাল (রা.)  অংশ নিয়েছিলেন। বদর যুদ্ধের ময়দানে কুরাইশদের পক্ষে ছিলেন হজরত বেলাল (রা.)–এর একসময়ের মনিব অত্যাচারী অবিশ্বাসী উমাইয়া ইবনে খালফ। সে যুদ্ধে বেলাল (রা.)–এর তরবারির আঘাতে তাঁর মৃত্যু হয়। এভাবে এক সময়কার ক্রীতদাস বেলাল (রা.)–এর হাতে প্রাণ হারান তাঁর পুরোনো নির্যাতনকারী মনিব।


Islamicroja


Comments

Popular posts from this blog

সূরা ফাতিহার অর্থ এবং ফজিলত

তারাবির নামাজ না পড়লে রোজা হবে কি ?

বৃদ্ধাশ্রমের বৃদ্ধ বাবা মায়ের জীবন !