Featured Post

বিবেক কাকে বলে

Image
 ইসলামের বিবেক বলতে বুঝানো হয় মানুষের মূল্যবোধ শক্তি। একজন প্রকৃত মানুষ হতে গেলে তাকে বিশ্বাস, আচরণ, মানসিকতা, সর্বোপরি তো মর্যাদায় পরিপূর্ণ থাকতে হয়  বিবেক: সমাজে এক শ্রেণীর মানুষ আছে তারা সব সময় মানুষের সমালোচনা করে এবং বিবেককে ফাঁকি দেয়। যারা একে অপরকে ঠকায় এবং অর্থ নিয়ে না দেয়ার চেষ্টা করেন এবং বিবেককে ফাঁকি দেয় তখন সমাজে তাকে বিবেকহীন মানুষ বলে।  অন্য দিকে একজন মানুষ প্রকৃত ঈমানদার এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সব পথে চলা অশ্লীল কাজ থেকে বিরত থাকা মানুষকে ঈমানের পথে আনা মানুষকে সঠিক পথে চলার দিকনির্দেশনা অর্থাৎ ইসলামের সঠিক পথ নির্দেশনা দেয় তাকে বিবেকবান মানুষ বলে।  বিবেকের গুরুত্ব: প্রত্যেক শ্রেণীর মানুষ সমাজের জীবনযাপন করে। আপনারা প্রায় খেয়াল করে দেখবেন আপনার প্রতিবেশী আপনাকে পছন্দ করে না। তার মানে এই নয় আপনি সমাজে নষ্ট হয়ে গেছেন অথবা পচে গেছেন। আপনি কোন দিকে টাকা উপার্জন করে পরিবার চালান কিন্তু আপনি কারো ধার ধরেন না। এজন্য আপনার প্রতি বেশি আপনাকে পছন্দ করে না। অনেক সময় আমরা দেখতে পাই মানুষের উন্নতি দেখলে অন্যদের হিংসাক্ত তো মনোভাব হয়। আপনারা প্রায় ল...

ইসলামে মায়ের মর্যাদা ?

ইসলামে মায়ের মর্যাদা ? সৃষ্টির সেরা জগতে সবচেয়ে মধুময় শব্দটি হচ্ছে মা। কবিতার ভাষায় মায়ের মত আপন কেহ নাই। মা হচ্ছে মমতাময়ী জগতের শ্রেষ্ঠ । বিশ্বজগৎ সংসারের শত দুঃখ কষ্টের মাঝে যে মানুষটি একটু সান্ত্বনা আর স্নেহ ভালোবাসা আমাদের সব বেদনা দূর করে দেয় তিনিই হলেন আর কেউ না আমাদের মা। মায়ের মতো আপনজন পৃথিবীতে আর কেউ নেই । দুঃখে কষ্ট, বিপদে-সংকটে যে মানুষটি নিজের সুখ দুঃখ বিসর্জন দিয়ে স্নেহের পরশ বিছিয়ে দেন তিনি হচ্ছেন আমাদের মা। প্রতিটি মানুষ পৃথিবীতে আসা এবং বেড়ে ওঠার পেছনে একমাত্র অবলম্বন হচ্ছে মায়ের । মায়ের তুলনা অন্য কারও সঙ্গে দেয়া যাবে  না। মায়ের সঙ্গে সন্তানের যে সুমধুর সম্পর্ক রয়েছে সেটা কখনো ভোলার মত না সেই হচ্ছে মা । আপনি অনেক বড় আঘাতপ্রাপ্ত হলে মা বলে চিৎকার দেন এটা প্রতিটি মানুষের ক্ষেত্রে বিস্তৃত । একদিন হজরত মুয়াবিয়া ইবনে জাহিমা আসসালামী রা: রাসুল সা: এর খেদমত করতে হাজির হয়ে বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ আমি জিহাদ করতে প্রস্তুত । এ ব্যাপারে আপনি কি বলেন জবাবে রাসুল সা: বললেন, তোমার কি মা বেঁচে আছেন , তিনি বললেন, জি হুজুর আছেন। রাসুল সা: ইরশাদ করে বলেন তোমার মায়ের সেবায় প্রতিনিয়ত নিয়োজিত থাকো, কেননা তার পায়ের নিচেই তোমার জান্নাত । প্রত্যেক মানুষের কাছে তার মা মহামূল্যবান হয়ে থাকে। মানুষ কেন বোঝার চেষ্টা করে না পৃথিবীর প্রতিটি প্রাণীই তার মায়ের কাছে নিশ্চিত ঋণী। আজ পর্যন্ত সেই ঋণ শোধ করার কোনো উপকরণ আল্লাহপাক দুনিয়ায় সৃষ্টি করেনি এবং করবেন না। মায়ের এক ধার দুধের ঋণ সন্তানের চামড়া দিয়ে জুতো বানিয়ে দিলেও শোধ হবে না । ইসলাম মায়ের মর্যাদাকে  সম্পূর্ণ আলাদা করে অনেক উঁচু স্তরে  মন্ডিতো করেছেন । এ ব্যাপারে আল্লাহ পাক কোরআনে বলেন আমি প্রত্যেক মানুষকে তার মা বাবার সঙ্গে সদাচরণের দিক নির্দেশ দিয়েছি । মা অনেক কষ্ট করে 10 মাস 10 দিন  গর্ভে ধারণ করেছে । মা হচ্ছে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ  মর্যাদা মন্ডিত স্থান । আল্লাহ পাক সুস্পষ্টভাবে পবিত্র কোরআনে উল্লেখ করেছেন । একটিবার ভেবে দেখেন মায়ের গর্ভের সন্তান দুই বছর পর আপনা আপনি দোষ ছাড়ানো হয়ে যায় । মায়ের মত এ দুনিয়াতে আপন কেহ আর হবে না । সুরা লুকমান : ১৪ এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ সা: এর কাছে জিজ্ঞাসা করলেন ইয়া রাসুলাল্লাহ , আমার কাছে কে উত্তম ব্যবহার পাওয়া যোগ্য ও বেশি হকদার । তিনি উত্তরে বললেন তোমার গর্বধারিনী মা। লোকটি বলল তারপর কে, তিনি বললেন তোমার গর্বধারিনী মা। ঐ ব্যক্তি আবার বলল তারপর কে, তিনি আবারো উত্তরে বললেন তোমার গর্বধারিনী মা । সে আবার জিজ্ঞেস করলো  তারপর কে তিনি উত্তরে বললেন তোমার বাবা । তাহলে একবার চিন্তা করে দেখে মায়ের মর্যাদা কতটুকু বেশি। বোখারি-মুসলিম । পৃথিবীতে সবচেয়ে কষ্ট যন্ত্রণা ত্যাগ তুলনামূলকভাবে মা শিকার করে থাকেন । প্রতিদিন প্রতিনিয়ত প্রত্যেকটা ঘন্টা গর্ভধারণ থেকে থেকে শুরু করে সন্তান কে দুধপান লালন পালন রাত জেগে সন্তানের  দেখাশোনা কষ্ট একমাত্র মায়েই সহ্য করেন । এ ছাড়া সন্তানের প্রতি মা সবচেয়ে বেশি যত্নবান ও দায়িত্বশীল হয়ে থাকেন । পবিত্র কোরআনে আল্লাহপাক বলেন আর আমি মানুষকে মা বাবার সঙ্গে সুস্পষ্ট ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছি। মা তাকে অতি কষ্টে গর্ভে ধারণ করেছেন পক্ষান্তরে হাড়ভাঙ্গা কষ্টে তাকে প্রসব করেছেন। তার গর্ভধারণ ও দুধপান ছাড়ানোর সময় লাগে ৩০ মাস পর্যন্ত। অবশেষে যখন সে তার শক্তির পূর্ণতায় পৌঁছে এবং ৪০ বছর পর্যন্ত বেষ্টিত থাকে। তখন সে বলে হে আমার রব আমাকে যথা সামর্থ্য দাও তুমি আমার ওপর আমার মা বাবার ওপর যে নিয়ামত দান করেছ তোমার সে নিয়ামতের যেন আমি কৃতজ্ঞতা আদায় করতে পারি। আমি যেন তোমার হুকুম নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে পারি এবং ভালো কাজ করতে পারি, যা নিশ্চয় আমি তোমার কাছে তাওবা করলাম এবং নিশ্চয় আমি মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত। সুরা আহকাফ : ১৫। সৃষ্টি জগতে মায়ের সম্মান আরশে। আল্লাহপাক কুরআনে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন । অন্য এক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, যখন কোনো অনুগত সন্তান নিজের মা-বাবার দিকে অনুগ্রহের নজরে দেখে আল্লাহ্ তায়ালা তার প্রতিটি দৃষ্টির বিনিময়ে একটি করে হজের সাওয়াব দান করে । ইসলামিক বার্তা

Comments

Popular posts from this blog

সূরা ফাতিহার অর্থ এবং ফজিলত

তারাবির নামাজ না পড়লে রোজা হবে কি ?

রাতের শেষ প্রহরে রাসুল সা: কি আমল করতেন