বিবেক কাকে বলে

এই রমজানে রোজা রাখার পাশাপাশি আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ আমল হলো তারাবি নামাজ। রমজানের রাতে এশার নামাজের চার রাকাত ফরজ ও দুই রাকাত সুন্নতের পর এবং বেতর নামাজের আগে দুই রাকাত করে ১০ সালামে যে ২০ রাকাত নামাজ আদায় করা হয়, সেটা তারাবি নামাজ। তারাবির নামাজ জামাতে পড়া ও সম্পূর্ণ কোরআন শরিফ একবার খতম করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা। অন্যদিকে রোজা মুসলমানদের জন্য ফরজ করা হয়েছে।
অনেকেই প্রশ্ন করেন তারাবির নামাজ না পড়লে রোজা হবে কি না। এ বিষয়ে অনেকে অনেক মতবাদ দিয়ে থাকেন। হাদিসে কি বলেজানতে হবে।
তারাবির নামাজ কোনো কারণে কেউ পড়তে না পারলে অনেকে মনে করেন, তারাবি যেহেতু পড়তে পারলাম না, তাহলে রোজা রেখে লাভ নেই। বিষয়টি একদমই ঠিক নয়। কেননা, তারাবির নামাজ হলো সুন্নতে মুয়াক্কাদা, যা পালনে বাধ্যবাধকতা নেই। কিন্তু রোজা রাখায় আছে। রোজা রাখা ফরজ, যা অবশ্যই পালনীয়।
তারাবির নামাজ রাসুল (সা.) পড়েছেন। তার ধারাবাহিকতায় এই নামাজ মুসলমানরা পড়ে আসছেন। হজরত ওমর ফারুক (রা.) থেকে এখন অবধি ২০ রাকাত তারাবির নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় হয়ে আসছে। বাংলাদেশের সব মসজিদেই ২০ রাকাত তারাবির নামাজ পড়া হয়।
বুখারী শরীফের অপর এক হাদিসে নবী করিম (সা.) মুসল্লিদের নিজেদের ঘরে নামাজ আদায়ে উৎসাহিত করেন। সেখানে বলা হয়, বাধ্যতামূলক ইবাদত ছাড়া ঘরে বসে যে ইবাদত করা হয় তা নিশ্চয়ই উৎকৃষ্ট।
কিন্তু যদি কেউ তারাবির নামাজ পড়তে না পারার জন্য পরবর্তী সময়ে রোজা না রাখেন, তাহলে তিনি অনেক বড় ভুল করবেন। কেননা, তারাবি হচ্ছে সুন্নত আর রোজা ফরজ। ফরজ মানে অবশ্যপালনীয়। তাই রোজার সঙ্গে তারাবির কোনো সম্পর্ক নেই। কিন্তু রোজা রেখে তারাবির নামাজ পড়লে তাতে অধিক সওয়াব পাওয়া যাবে।
রমজান মাসে পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছে। তাই এ মাসে তারাবির নামাজের মাধ্যমে পবিত্র কোরআন খতম দেওয়া হয়। আপনি যদি রমজানের পুরো মাস ধারাবাহিকভাবে তারাবির নামাজ পড়তে পারেন, তাহলে আপনি পবিত্র কোরআন খতম দেওয়ার সওয়াবও পেয়ে যাবেন। কিন্তু যদি কেউ তারাবির নামাজ পড়তে না পারেন, তাতে সমস্যা নেই। এতে রোজায় কোনো প্রভাব পড়বে না। তারাবির নামাজ না পড়তে পারলেও রোজা মুসলমানদের উপর ফরজ।
Islamic
খুবই ভালো লাগলো
ReplyDelete