বিবেক কাকে বলে

মহান আল্লাহর গুণবাচক নাম গুলোর মধ্যে হচ্ছে যাল জালালি ওয়াল ইকরাম। মহান আল্লাহকে ডাকার সময় ইয়া যুক্ত করে বলতে হবে।
ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরামের ফজিলত
নবীজি (সা.) এক হাদিসে বলেছেন, ‘তোমরা সব সময় ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম পড়াকে অপরিহার্য করে নাও (তিরমিজি, হাদিস: ৩,৫২৫)। অর্থাৎ সব সময় এই নাম পড়ার প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নবীজি (সা.) নামাজ আদায়ের পরে বসা অবস্থায় বলতেন, ‘আল্লাহুম্মা আনতাস সালাম ওয়া মিনকাস সালাম তাবারাকতা ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম।’ অর্থাৎ ‘হে আল্লাহ, আপনি সালাম (শান্তি নিরাপত্তা প্রদানকারী, আপনার পক্ষ থেকেই সালাম (শান্তি ও নিরাপত্তা) আসে। আপনি বরকতময়, হে মহিমময় মহানুভব। (মুসলিম, হাদিস: ৫৯১-৫৯২)
মহান আল্লাহর 99 নামের মধ্যে একটি নাম হল ইয়া জালালি ওয়াল ইকরাম ইসমে আজম বড় নাম আর জালাল শব্দের অর্থ হচ্ছে মর্যাদাবান পক্ষান্তরে ইকরাম শব্দের অর্থ হচ্ছে সম্মানিত। আল্লাহকে অনেক বড় এবং শ্রেষ্ঠ প্রকাশ করার জন্য এগুলো নামে ডাকা হয়। আর এগুলোকে বলা হয় ইজমে আজম। পবিত্র আল কুরআনে এই নামটি দুবার এসেছে। সুরা আর রহমানের ২৭ নম্বর ও ৭৮ নম্বর আয়াতে।
মহান আল্লাহর গুণবাচক নাম
সমস্ত সৃষ্টি জগতের মালিক হচ্ছেন আল্লাহ ।ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরামের সার্বিক অর্থ হচ্ছে তিনি পুরো সৃষ্টি জগতের মালিক। অর্থাৎ সমস্ত সৃষ্টিকুল হতে ভয় পাওয়ার হকদার একমাত্র প্রশংসা যোগ্য মহৎ অধিকারী।
একবার হজরত আনাস রা. নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে বসে ছিলেন। এমন অবস্থায় একজন ব্যক্তি ওইখানে নামাজ পড়ে দোয়া করলেন। আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা বিআন্না লাকাল হামদু লা ইলাহা ইল্লা আনতাল মান্নান বাদিউস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম ইয়া হাইয়্যু ইয়া কাইয়্যুম।
আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলে তুমি আল্লাহর দরবারে যে দোয়াটি পড়লে ইসমে আজমের মাধ্যমে দোয়াটি করেছো এবং মহান সঙ্গে সঙ্গে সাড়া দেন এবং কিছু চাইলে তা পূরণ করে দেন। দাউদ ১,৪৯৫, নাসাঈ, ১৩০।
পবিত্র কুরআনে বর্ণিত আল্লাহ সবসময় বান্দাদের জিকির করার নির্দেশ দিয়েছেন। আল্লাহ বলেছেন হে আমার বিশ্বাসীগণ ঈমানদারগণ তোমরা আমাকে সবসময় পরিবারে স্মরণ করো এবং সকাল সন্ধ্যা তার পবিত্রতা ঘোষণা করো।সুরা আহজাব, আয়াত: ৪১-৪২ ।
নবীজি (সা.) এক হাদিসে বলেছেন, ‘তোমরা সব সময় ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম পড়াকে অপরিহার্য করে নাও (তিরমিজি, হাদিস: ৩,৫২৫)। অর্থাৎ সব সময় এই নাম পড়ার প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নবীজি (সা.) নামাজ আদায়ের পরে বসা অবস্থায় বলতেন, ‘আল্লাহুম্মা আনতাস সালাম ওয়া মিনকাস সালাম তাবারাকতা ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম।’ অর্থাৎ ‘হে আল্লাহ, আপনি সালাম (শান্তি নিরাপত্তা প্রদানকারী, আপনার পক্ষ থেকেই সালাম (শান্তি ও নিরাপত্তা) আসে। আপনি বরকতময়, হে মহিমময় মহানুভব। (মুসলিম, হাদিস: ৫৯১-৫৯২)
পবিত্র আল কুরআনের তোমরা যখন সৃষ্টিকর্তা বা মহান আল্লাহকে ডাকবে অবশ্যই মনে রাখবে আল্লাহকে ভয় করবে
সুরা আনফাল, আয়াত: ৪৫
আল্লাহর গুণবাচক নামের জিকির করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে কোরআন ও হাদিসে। কোরআনে আছে, ‘ আর সুন্দর নামগুলো আল্লাহরই। তোমরা তাঁকে সেই সব নামে ডাকবে, যারা তাঁর নাম বিকৃত করে, তাদেরকে বর্জন করবে তাদের কৃতকর্মের ফল তাদেরকে দেওয়া হবে।’ (সুরা আরাফ, আয়াত: ১৮০)
ইমাম আবু জাফর তাবারি (র.) বলেন, আল্লাহর প্রতিটি গুণবাচক নামই ইসমে আজমের অন্তর্ভুক্ত। যদি কোন লোক এটি নিয়মিত পড়ে তবে আল্লাহ এর দুনিয়া ও পরকালের সব কাজ সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করেদেবেন।
ইসলামিক বার্তা
Comments
Post a Comment