বিবেক কাকে বলে

ধৈর্য কাকে বলে
হযরত আনাস ইবনে মালিক রা: এর কাছ থেকে একটি হাদিস শরীফ উল্লেখ করেছেন হযরত আবু তালহা রা: এর এক ছেলে একবার অসুস্থ হয়ে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে আবু তালহা রা: বাইরে গেলে, সে সময় ছেলেটি মারা যায়। তিনি জানতে চাইছিলেন ছেলেটি কি করেছে।
অর্থাৎ তার স্ত্রী হযরত উম্মে সোলায়মান রা: বলেন সে আগের চাইতে শান্ত প্রকৃতির। এরপর তাকে রাত্রে খাবার দিলেন। তিনি খাদ্য গ্রহণের পরে উম্মে সোলায়মানের সঙ্গে সঙ্গ দিলেন। এরপর উম্মে সুলাইমান বললেন ছেলেকে দাফন করে এসো।
সূর্য উদয় এবং সকাল হলে আবু তালহা রা: এর কাছে এসে ঘটনাটি খুলে বললেন। হযরত রাসূল সাল্লাহু সাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন গতরাতে তুমি কি তোমার স্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।
উত্তরে তিনি বললেন হ্যাঁ।
নবী সা. বললেন, ইয়া আল্লাহ! তাদের জন্য তুমি বরকত দান করো।’
এরপর উম্মে সুলায়ম (রা.) একটি সন্তান প্রসব করলেন।
নবী (সা.) শিশুটিকে কোলে নিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ওর সঙ্গে কি কিছু আছে?
তাঁরা বললেন, হ্যাঁ। খেজুর আছে।
রাসুল (সা.) খেজুর চিবিয়ে চিবানো খেজুর শিশুটির মুখে দিলেন। এর পর শিশুটির নাম রাখলেন আবদুল্লাহ। (বুখারি, হাদিস: ৫,৪৭০
ইসলাম গ্রহণের পর উম্মে সুলায়মের সঙ্গ নিলেন। এর পর উম্মে সুলায়ম বললেন, ছেলেকে দাফন করে এসো।
নবী (সা.) বললেন, ‘ইয়া আল্লাহ! তাদের জন্য তুমি বরকত দান করো।’
এরপর উম্মে সুলায়ম (রা.) একটি সন্তান প্রসব করলেন।
এরপর আবু তালহা রা: সেই শিশুকে নিয়ে নবী করীম সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এর কাছে গেলেন। যাওয়ার সময় উম্মে সুলাইমান কিছু খেজুর দিয়েছিলেন।
নবী (সা.) শিশুটিকে কোলে নিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ওর সঙ্গে কি কিছু আছে?
তাঁরা বললেন, হ্যাঁ। খেজুর আছে।
রাসুল (সা.) খেজুর চিবিয়ে চিবানো খেজুর শিশুটির মুখে দিলেন। এর পর শিশুটির নাম রাখলেন আবদুল্লাহ। (বুখারি, হাদিস: ৫,৪৭০)
ইসলাম ধর্মে বারবার সবর বা ধৈর্যের গুরুত্বের কথা কি বলা হয়েছে। তাফসীরে বারবার উল্লেখ করেছেন ধৈর্যের কথা। ধৈর্য তিন প্রকার ১, সবর আমিল মাসিয়াত। ২, সবর আলাত তোআত।৩, সবর আলাল মুসিবাত পক্ষান্তরে বিপদে অধীর না হুয়া।
ধৈর্যশীল ব্যক্তিকে আল্লাহ পছন্দ করেন
কোন ব্যক্তি যদি অপরের পথ ধরে ধৈর্য অবলম্বন করে তবে তার জীবনে পূর্ণতা এবং সফলতা আসবেই। তবে এই শবরে বা ধৈর্যের কিছু মূল্যবান গুরুত্ব রয়েছে। প্রথমত অন্যায় অপরাধ এবং পাপ কাজ থেকে বিরত থাকা দ্বিতীয়ত সব রকম অকল্যাণ এবং গ্লানি থেকে রক্ষা পাওয়ার অন্যতম উপায় ধৈর্য। ইবাদত এবং পবিত্রতা ধৈর্যের মহৎ গুণ। সবরে কালিম এবং পূর্ণতা মানব জীবনকে কল্যাণময় দিতে পারে।
যেকোনো অযাচিত পরিবেশে ও অনাহূত পরিস্থিতিতে নিজেকে সংযত রেখে দৃঢ়তার সঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার উদাহরণ আছে যেমন হজরত মুসা (আ.)–এর জীবনীতে। তিনি নদীর পারে এসে নদী পারাপারের উপায় না দেখে প্রবল বিপদের মুখোমুখি হয়েও ধৈর্য হারাননি। বরং উম্মতকে সান্ত্বনা দিয়ে দৃঢ় বিশ্বাসের সঙ্গে দৃপ্ত কণ্ঠে বলেছিলেন, ‘কালা কাল্লা! ইন্না মায়িয়া রব্বি ছাইয়াহদিন।’ অর্থাৎ, ‘কিছুতেই না। আমার সঙ্গে আছেন আমার প্রতিপালক; তিনি আমাদের পথ দেখাবেন।’ (সুরা শোআরা, আয়াত: ৬২)
হজরত মুহাম্মদ (সা.) মক্কা থেকে হিজরত করে মদিনায় যাওয়ার পথে সাওর পর্বতের গুহায় আত্মগোপন করে থাকার সময় তাঁর সঙ্গী হজরত আবুবকর সিদ্দিক (রা.)–কে এভাবেই আশ্বস্ত করেছিলেন। কোরআন শরিফে তার উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ‘যদি তোমরা তাকে (রাসুলকে) সাহায্য না কর, (তবে স্মরণ করো) আল্লাহ তাকে সাহায্য করেছিলেন, যখন অবিশ্বাসীরা তাকে তাড়িয়ে দিয়েছিল। সে ছিল দুজনের একজন। অপরজন আবু বকর (রা.), যখন তারা গুহার মধ্যে ছিল; সে তখন তার সঙ্গীকে বলেছিল, মন খারাপ কোরো না, আল্লাহ তো আমাদের সঙ্গে আছেন। তারপর আল্লাহ তার ওপর তাঁর প্রশান্তি বর্ষণ করলেন। আর এমন এক সৈন্যবাহিনী দিয়ে তিনি তাকে শক্তিশালী করলেন, যা তোমরা দেখনি আর তিনি অবিশ্বাসীদের কথা তুচ্ছ করলেন। আল্লাহর কথাই সবার ওপরে। আর আল্লাহ তো শক্তিমান তত্ত্বজ্ঞানী। সুরা তওবা, আয়াত: ৪০
Islamicroja
Comments
Post a Comment