Featured Post

বিবেক কাকে বলে

Image
 ইসলামের বিবেক বলতে বুঝানো হয় মানুষের মূল্যবোধ শক্তি। একজন প্রকৃত মানুষ হতে গেলে তাকে বিশ্বাস, আচরণ, মানসিকতা, সর্বোপরি তো মর্যাদায় পরিপূর্ণ থাকতে হয়  বিবেক: সমাজে এক শ্রেণীর মানুষ আছে তারা সব সময় মানুষের সমালোচনা করে এবং বিবেককে ফাঁকি দেয়। যারা একে অপরকে ঠকায় এবং অর্থ নিয়ে না দেয়ার চেষ্টা করেন এবং বিবেককে ফাঁকি দেয় তখন সমাজে তাকে বিবেকহীন মানুষ বলে।  অন্য দিকে একজন মানুষ প্রকৃত ঈমানদার এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সব পথে চলা অশ্লীল কাজ থেকে বিরত থাকা মানুষকে ঈমানের পথে আনা মানুষকে সঠিক পথে চলার দিকনির্দেশনা অর্থাৎ ইসলামের সঠিক পথ নির্দেশনা দেয় তাকে বিবেকবান মানুষ বলে।  বিবেকের গুরুত্ব: প্রত্যেক শ্রেণীর মানুষ সমাজের জীবনযাপন করে। আপনারা প্রায় খেয়াল করে দেখবেন আপনার প্রতিবেশী আপনাকে পছন্দ করে না। তার মানে এই নয় আপনি সমাজে নষ্ট হয়ে গেছেন অথবা পচে গেছেন। আপনি কোন দিকে টাকা উপার্জন করে পরিবার চালান কিন্তু আপনি কারো ধার ধরেন না। এজন্য আপনার প্রতি বেশি আপনাকে পছন্দ করে না। অনেক সময় আমরা দেখতে পাই মানুষের উন্নতি দেখলে অন্যদের হিংসাক্ত তো মনোভাব হয়। আপনারা প্রায় ল...

নবীজি ( সা:)-এর কান্না

 হাসির মতো কান্নাতেও মানুষের ব্যক্তিত্বের প্রকাশ ঘটে। হাসি-কান্না মানুষের এক বিশেষ বৈশিষ্ট্য। এ দুটি মানবতত্ত্বের এক নিগুঢ় রহস্য। আল্লাহ–তায়ালা বলেন, তিনিই হাসান ও কাঁদান। (সুরা নাজম, আয়াত: ৪৩)



আল্লাহ্‌ই মানুষের মধ্যে হাসি-কান্নার উপাদান সৃষ্টি করেছেন।


কান্নার ধরন


কান্নার ধরন অনেক। ভয়ের কান্না, বিরহের কান্না, অসহায়ত্বের কান্না, শোক ও বিষণ্নতার কান্না ইত্যাদি। রাসুল (সা.) স্বাভাবিক মানবীয় প্রকৃতির মতোই কোনো আত্মীয় ও প্রিয়জনের মৃত্যুতে কাঁদতেন। এ ধরনের বহু ঘটনা হাদিসের কিতাবে রয়েছে।


ইবনুল কাইয়িম (র.) বলেন, রাসুল (সা.)-এর কান্না ছিল হাসিরই অনুরূপ। তিনি সশব্দে যেমন হাসতেন না, তেমনই শব্দ করে কাঁদতেনও না। কেবল তাঁর দু চোখ দিয়ে অশ্রু ঝরত। (জাদুল মায়াদ, খণ্ড ১, হাদিস: ১৮৩)

সন্তান–শোকে কান্না


আনাস (রা.) বলেন, (নবী-পুত্র) ইব্রাহিমকে আমি নবীজির(সা.) সামনে মৃত্যুপ্রায় অবস্থায় দেখেছি  নবীজির (সা.) দু চোখ গড়িয়ে পানি পড়তে লাগল। তিনি বললেন, চোখ অশ্রু ঝরায়, হৃদয় বিষণ্ন হয়। আমার প্রতিপালক যে কথায় সন্তুষ্ট, তা-ই আমরা বলি। ইব্রাহিম, তোমার বিচ্ছেদে আমরা ব্যথিত। (বুখারি, হাদিস: ১,৩০৩)]



আনাস (রা.) বলেন, আমি নবীজির (সা.) এক মেয়ের (দাফনের) সময় উপস্থিত ছিলাম। তিনি কবরের পাশে বসে ছিলেন। দেখলাম, তার দু চোখ গড়িয়ে অশ্রু ঝরছে। (বুখারি, হাদিস: ১২৮৫)


পরিবারের সদস্যদের বিয়োগে কান্না


ওসামা ইবনে যায়েদ (রা.) বলেন, নবীজির (সা.) কন্যা তাঁর কাছে খবর পাঠিয়েছেন, তাঁর সন্তান মৃতপ্রায়। তিনি কয়েকজন সাহাবিসহ সেখানে গেলেন। শিশুটিকে নবীজির কোলে তুলে দেওয়া হলো। তখনো শিশুটির প্রাণের স্পন্দন পাওয়া যাচ্ছে। (বর্ণনাকারী বলেন,) আমি ধারণা করছি তিনি বলেছিলেন, মনে হয় যেন একটি চামড়ার পাত্র। তারপর তাঁর দু চোখ অশ্রু ঝরাতে লাগলো। সাদ (রা.) বললেন, আল্লাহর রাসুল, এ কী? নবীজি (সা.) বললেন, এটাই মমতা, যা আল্লাহ তার বান্দাদের অন্তরে রেখেছেন। আল্লাহ–তাআলা তার দয়ালু বান্দাদেরই দয়া করেন। (মুসলিম, হাদিস: ৯২৩)



সাহাবিদের ভালোবাসায় কান্না


আনাস (রা.) বর্ণনা করেছেন যে রাসুল (সা.) যায়েদ ও তার সঙ্গীদের শাহাদাতের সংবাদ দিয়ে বললেন, যায়েদ পতাকা তুলে নিয়েছে। সে শহিদ হলো। তারপর জাফর পতাকা ধরেছে। সে-ও শহিদ হয়ে গেল। এবার আবদুল্লাহ ইবনে রওয়াহা পতাকা হাতে নিয়েছে। সে-ও শহীদ হয়েছে। বর্ণনাকারী বলেন, নবীজির (সা.) দু চোখ তখন অশ্রু ঝরাচ্ছিল। (বুখারি, হাদিস: ৩,০৬৩)


কখনো কখনো তিনি এত বেশি বেদনাহত হতেন যে তাঁর হৃদয়ে ছাপ থেকে যেত। একসঙ্গে অনেক ক্বারীর শাহাদাতের ঘটনা সম্পর্কে আনাস (রা.) বলেন, নবীজিকে (সা.)এর চেয়ে বেশি বেদনাহত হতে আমি আর দেখিনি। (মুসলিম, হাদিস: ৬৭৭)


নামাজে কাঁদা


আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু নামাজে বসে প্রায় কাঁদতেন। নবীজির কাঁদার আওয়াজ কখনো সাহাবীরা বুঝতে পারত না। কেবলই তার দুচোখ অশ্রু ভেজা ছিলেন। কখনো কখনো নামাজে তেলাওয়াতের সময় এত পরিমাণ প্রিয় নবী কেঁদেছিলেন তার গলা ভারী হয়ে আসতো‌। এভাবে তিনি আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করতে এবং কেঁদে কেঁদে আর্জি জানাতেন।


আবদুল্লাহ ইবনে শিখখির (রা.) তাঁর পিতার বর্ণনা নকল করেন এইভাবে যে, একবার নবীজির (সা.) কাছে গিয়ে দেখি, তিনি নামাজ পড়ছেন, আর তাঁর বুক থেকে কান্নার এমন শব্দ বের হচ্ছে, যেন চুলায় রাখা পানির পাত্র টগবগ করে ফুটছে।


তিনি আবার কখনো কখনো সেজদায় পড়েও কাঁদতেন। আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) বলেন, একবার সূর্যগ্রহণের সময় নবীজি (সা.)নামাজে দাঁড়িয়ে গিয়ে দীর্ঘ রুকু-সেজদা করলেন। সেজদায় গিয়ে মনে হলো তিনি আর উঠবেন না। তিনি দীর্ঘশ্বাস ফেলছিলেন আর কাঁদছিলেন। দোয়ার মধ্যে বলছিলেন, হে আমার প্রতিপালক, আপনি কি আমাকে এই প্রুতশ্রুতি দেননি যে, আমার উপস্থিতিতে উম্মতকে শাস্তি দেবেন না। (নাসায়ি, হাদিস: 

নবীজি (সা.)-এর কান্না।



সন্তান–শোকে কান্না


আনাস (রা.) বলেন, (নবী-পুত্র) ইব্রাহিমকে আমি নবীজির(সা.) সামনে মৃত্যুপ্রায় অবস্থায় দেখেছি  নবীজির (সা.) দু চোখ গড়িয়ে পানি পড়তে লাগল। তিনি বললেন, চোখ অশ্রু ঝরায়, হৃদয় বিষণ্ন হয়। আমার প্রতিপালক যে কথায় সন্তুষ্ট, তা-ই আমরা বলি। ইব্রাহিম, তোমার বিচ্ছেদে আমরা ব্যথিত। (বুখারি, হাদিস: ১,৩০৩)]


আনাস (রা.) বলেন, আমি নবীজির (সা.) এক মেয়ের (দাফনের) সময় উপস্থিত ছিলাম। তিনি কবরের পাশে বসে ছিলেন। দেখলাম, তার দু চোখ গড়িয়ে অশ্রু ঝরছে। (বুখারি, হাদিস: ১২৮৫)





কোরআন শুনে কান্না


কোরআনে আজাবের আয়াত পাঠের সময় কাঁদা নবীজির (সা.)সুন্নাত ছিল। সাহাবিদের কণ্ঠে কোরআন তেলাওয়াত শুনেও তিনি আবেগাপ্লুত হয়ে পড়তেন। আবদুল্লাহ ইবনে মাসঊদ (রা.) বলেন, নবীজি (সা.)একদিন আমাকে বললেন, আমাকে কোরআন পড়ে শোনাও। ইবনে মাসউদ (রা.) বললেন, কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে আপনার ওপর আর আমি আপনাকে পড়ে শোনাব? নবীজি (সা.)বললেন, আমি অন্যের কাছ থেকে শুনতে চাচ্ছি। ইবনে মাসউদ (রা.) সূরা নিসা তিলাওয়াত করলেন। যখন এ আয়াতে এলেন, ‘তখন কী অবস্থা হবে, যখন আমি ডেকে আনব প্রত্যেক উম্মতের মধ্য থেকে সাক্ষী এবং আপনাকে ডাকব তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষীরূপে’ (সুরা নিসা, আয়াত ৪১)। আমি দেখলাম নবীজির (সা.) চোখ থেকে অশ্রু প্রবাহিত হচ্ছে। (বুখারি, হাদিস: ৪,৬৮২)


Islamicroja 


Comments

Popular posts from this blog

সূরা ফাতিহার অর্থ এবং ফজিলত

তারাবির নামাজ না পড়লে রোজা হবে কি ?

বৃদ্ধাশ্রমের বৃদ্ধ বাবা মায়ের জীবন !