বিবেক কাকে বলে

একজন পুরুষ স্ত্রী সহবাসের পর ফরজ গোসল না করা পর্যন্ত পাঁচটি কাজ কখনো করা যাবে না। ১. নামাজ আদায় করা নিষিদ্ধ, ২. তাওয়াফ করা নিষিদ্ধ, ৩. মসজিদে অবস্থান করা নিষিদ্ধ, ৪. কোরআন স্পর্শ করা নিষিদ্ধ, ৫. কোরআন তিলাওয়াত করা নিষিদ্ধ। এর বাইরে অন্যান্য কাজ গোসল ফরজ অবস্থায় নিষিদ্ধ নয়।
স্ত্রী কে সহবাস
গোসল ফরজ অবস্থায় নারীদের জন্য শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানো, রান্না করা, খাবার খাওয়া, ঘুমানোসহ অন্যান্য স্বাভাবিক কাজকর্ম করা জায়েজ। তবে গোসল ফরজ অবস্থায় এ সব কাজের আগে অজু করে নেওয়া মুস্তাহাব। উম্মুল মুমিনীন আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যখন গোসল ফরজ অবস্থায় ঘুমাতে চাইতেন, তখন তিনি নামাজের জন্য অজু করার মতো করে অজু করতেন, তারপর ঘুমাতেন। (সহিহ মুসলিম: ৩০৫)
গোসল ফরজ অবস্থায় দোয়া-দরুদ, জিকির, তাসবিহ পড়াও জায়েজ। কোরআনে উল্লিখিত দোয়াগুলোও পড়া জায়েজ। মা’মার (রহ.) বলেন, আমি ইমাম জুহরিকে (রহ.) জিজ্ঞাসা করলাম, যার উপর গোসল ফরজ সে কি আল্লাহর জিকির করতে পারবে? প্রশ্নে তিনি জবাব দিলেন অবশ্যই পারবে। তারপর তিনি বললেন সে কি কোরআন তেলাওয়াত করতে পারবে, তিনি প্রশ্নের জবাব আবারো দিলেন না পারবে না সম্পূর্ণ নিষেধ। (মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক)
ইবরাহিম নাখঈ (রহ.) বলেন, গোসল ফরজ হওয়া ব্যক্তিরা আল্লাহর জিকির করতে পারবে এবং বিসমিল্লাহও পড়তে পারবে। (মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক)
গোসল ফরজ হওয়া ব্যক্তির ঘাম ও শরীর অপবিত্র নয় যদি শরীরে বাহ্যিক নাপাকি না থাকে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন আমার সঙ্গে মদিনার কোনো এক পথে আল্লাহর রাসুলের (সা.) দেখা হলো। আমি তখন নাপাক অবস্থায় ছিলাম। তাই নিজেকে অপবিত্র মনে করে সরে পড়লাম। গোসল করার পর আবার নবিজির (সা.) সাথে দেখা হলে তিনি জিজ্ঞেস করলেন, আবু হুরায়রা! কোথায় ছিলে? আবু হুরায়রা (রা.) বললেন, আমি অপবিত্র অবস্থায় আপনার সঙ্গে বসা সমীচীন মনে করিনি। আল্লাহর রাসুল (সা.) বললেন, মুমিন কখনো এমন অপবিত্র হয় না যে, তাকে স্পর্শ করা যাবে না। (সুনানে তিরমিজি: ১২১)
ইসলামিক বার্তা
লেখক মোঃ ই
করামুল ইসলাম
Comments
Post a Comment