Featured Post

বিবেক কাকে বলে

Image
 ইসলামের বিবেক বলতে বুঝানো হয় মানুষের মূল্যবোধ শক্তি। একজন প্রকৃত মানুষ হতে গেলে তাকে বিশ্বাস, আচরণ, মানসিকতা, সর্বোপরি তো মর্যাদায় পরিপূর্ণ থাকতে হয়  বিবেক: সমাজে এক শ্রেণীর মানুষ আছে তারা সব সময় মানুষের সমালোচনা করে এবং বিবেককে ফাঁকি দেয়। যারা একে অপরকে ঠকায় এবং অর্থ নিয়ে না দেয়ার চেষ্টা করেন এবং বিবেককে ফাঁকি দেয় তখন সমাজে তাকে বিবেকহীন মানুষ বলে।  অন্য দিকে একজন মানুষ প্রকৃত ঈমানদার এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সব পথে চলা অশ্লীল কাজ থেকে বিরত থাকা মানুষকে ঈমানের পথে আনা মানুষকে সঠিক পথে চলার দিকনির্দেশনা অর্থাৎ ইসলামের সঠিক পথ নির্দেশনা দেয় তাকে বিবেকবান মানুষ বলে।  বিবেকের গুরুত্ব: প্রত্যেক শ্রেণীর মানুষ সমাজের জীবনযাপন করে। আপনারা প্রায় খেয়াল করে দেখবেন আপনার প্রতিবেশী আপনাকে পছন্দ করে না। তার মানে এই নয় আপনি সমাজে নষ্ট হয়ে গেছেন অথবা পচে গেছেন। আপনি কোন দিকে টাকা উপার্জন করে পরিবার চালান কিন্তু আপনি কারো ধার ধরেন না। এজন্য আপনার প্রতি বেশি আপনাকে পছন্দ করে না। অনেক সময় আমরা দেখতে পাই মানুষের উন্নতি দেখলে অন্যদের হিংসাক্ত তো মনোভাব হয়। আপনারা প্রায় ল...

সাবান মাসে নফল রোজা রাখার নিয়ম

 শাবান মাস আরবি মাসের অষ্টম মাস । ইহা আরবি মাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি ফজিলতের মাস। আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন নিজে বান্দাদের জন্য এই মাসে পুরস্কার অবতীর্ণ করেছেন ও তার মধ্যে শাবান মাস হচ্ছে অন্যতম মাস।

সবান মাস মুসলমানদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ফজিলতের মাস।


                    নফল রোজা করার নিয়ম

রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শাবান মাসকে তার নিজের মাস হিসেবে ঘোষণা করেছেন। তিনি শাবান মাসে রোজা পালনের অনেক গুরুত্ব ও ফজিলত বর্ণনা করেছেন। শাবান এমনই ফজিলতপূর্ণ মাস; যে মাসে মহান আল্লাহ তার রহমত ও বরকতের মাধ্যমে বান্দার সব চাহিদা পূরণ করেন।



হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, তিনি বলেন, 


রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রোজা রাখতে থাকতেন, যাতে আমরা বলতাম যে, তিনি (এ মাসে) আর রোজা ছাড়বেন না; আবার তিনি রোজা ভাঙ্গতে শুরু করতেন, যাতে আমরা বলতাম যে, তিনি (এ মাসে) আর রোজা রাখবেন না।


আমি রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে রমজান মাস ছাড়া আর কখনো পূর্ণ মাস রোজা রাখতে দেখিনি। আর তাকে শাবান মাস ছাড়া কোনো মাসে এতো বেশি রোজা রাখতেও দেখিনি।


শপথ করে ভেঙে ফেললে যা করবেন


মহান আল্লাহ অর্ধ শাবানের রাত মানুষের জন্য আনয়ন করেন। প্রত্যেক বান্দাকে ক্ষমা করে দেন। কিন্তু মুশরিক ও মুশাহিনকে ক্ষমা করেন না। (মুশাহিন বলা হয় এমন মানুষকে, যারা সুন্নাহর বিরোধিতা করেন আর সাহাবা রা: কে অভিসম্পাত করে  সিলসিলাতু আহাদিস আস-সাহিহা ১১৪৪


আরেক বর্ণনায় এসেছে, তিনি (আয়েশা (রা.) বলেছেন, রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শাবানের পূর্ণ মাসই রোজা রাখতেন। তিনি শাবানের রোজা রাখতেন তবে অল্প কিছু দিন (রাখতেন না)। (বুখারি, মুসলিম, মুসনাদে আহমাদ, বাইহাকি, আবু দাউদ, মিশকাত)


রমজানের প্রস্তুতির জন্য শাবান মাসে বেশি বেশি নফল রোজা রাখার কথা বলা হয়েছে হাদিসে। রাসূল সা. শাবান মাসের প্রায় পুরোটাই রোজা রাখতেন। এই মাসে তিনি অন্যান্য মাসের মতো আইয়ামে বীজের রোজা, সপ্তাহে দুইদিনের রোজা রাখতেন। একইসঙ্গে সপ্তাহ ও মাসের অন্যান্য দিনগুলোতে রোজা রাখতেন।


রমজানের বরকত লাভের দোয়া পড়তেন। রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রজব ও শাবান মাসে রমজানের প্রস্তুতিমূলক কিছু বিশেষ আমল শুরু করতেন। এ মাস শুরু হলে তিনি এই দোয়া পড়তেন,


اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِي رَجَبٍ وَشَعْبَانَ وَبلغنا رَمَضَانَ (উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা বারিকলানা ফি রাজাবা ওয়া শাবানা, ওয়া বাল্লিগনা রমাদান।)


অর্থ: হে আল্লাহ! আমাদের জন্য রজব ও শাবান মাসকে বরকতময় করে দিন। আর আমাদের রমজান মাস পর্যন্ত পৌঁছে দিন। নাসায়ি ও মুসনাদে আহমাদ।


ইসলামিক বার্তা

 

লেখক মোঃ ইকরামুল ইসলাম 


Comments

Popular posts from this blog

সূরা ফাতিহার অর্থ এবং ফজিলত

তারাবির নামাজ না পড়লে রোজা হবে কি ?

রাতের শেষ প্রহরে রাসুল সা: কি আমল করতেন