Featured Post

বিবেক কাকে বলে

Image
 ইসলামের বিবেক বলতে বুঝানো হয় মানুষের মূল্যবোধ শক্তি। একজন প্রকৃত মানুষ হতে গেলে তাকে বিশ্বাস, আচরণ, মানসিকতা, সর্বোপরি তো মর্যাদায় পরিপূর্ণ থাকতে হয়  বিবেক: সমাজে এক শ্রেণীর মানুষ আছে তারা সব সময় মানুষের সমালোচনা করে এবং বিবেককে ফাঁকি দেয়। যারা একে অপরকে ঠকায় এবং অর্থ নিয়ে না দেয়ার চেষ্টা করেন এবং বিবেককে ফাঁকি দেয় তখন সমাজে তাকে বিবেকহীন মানুষ বলে।  অন্য দিকে একজন মানুষ প্রকৃত ঈমানদার এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সব পথে চলা অশ্লীল কাজ থেকে বিরত থাকা মানুষকে ঈমানের পথে আনা মানুষকে সঠিক পথে চলার দিকনির্দেশনা অর্থাৎ ইসলামের সঠিক পথ নির্দেশনা দেয় তাকে বিবেকবান মানুষ বলে।  বিবেকের গুরুত্ব: প্রত্যেক শ্রেণীর মানুষ সমাজের জীবনযাপন করে। আপনারা প্রায় খেয়াল করে দেখবেন আপনার প্রতিবেশী আপনাকে পছন্দ করে না। তার মানে এই নয় আপনি সমাজে নষ্ট হয়ে গেছেন অথবা পচে গেছেন। আপনি কোন দিকে টাকা উপার্জন করে পরিবার চালান কিন্তু আপনি কারো ধার ধরেন না। এজন্য আপনার প্রতি বেশি আপনাকে পছন্দ করে না। অনেক সময় আমরা দেখতে পাই মানুষের উন্নতি দেখলে অন্যদের হিংসাক্ত তো মনোভাব হয়। আপনারা প্রায় ল...

তাওবা করলে আল্লাহ খুশি হন

 যেকোনো ব্যক্তি যদি কোন অন্যায় কাজ এবং অন্যের ক্ষতি করে তাহলে তাকে নিশ্চয়ই আল্লাহর কাছে তওবা করতে হবে অথবা ক্ষমা চাইতে হবে। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে ক্ষমা অথবা তওবা করল আল্লাহ তার উপর খুশি হলো আনন্দ মুহূর্ত হলো। আল্লাহ তার বান্দাদেরকে সবাইকে অন্যায়ের ক্ষমা করার তওবা কথা বলেছেন এবং নির্দেশ দিয়েছেন। যে ব্যক্তি অন্যায় করার পর সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহর কাছে তওবা করে আল্লাহ তাকে মন থেকে ভালোবাসে এবং তওবাকারীকে আল্লাহর নেক নেয়ামত দেন।


               তাওবা কারীকে আল্লাহ পছন্দ করেন

পবিত্র আল কুরআনের হাদিসে বর্ণিত হয়েছে বাহ একজন বান্দা তব আল্লাহর সেই ব্যক্তির চেয়ে খুশি হন কোন মরুভূমিতে একটা উট হারিয়ে গেছে অনেক খোঁজাখুঁজির পর লোকটি হতাশ না হয়েও তা দেখতে পান। আল্লাহ এত পরিমাণ খুশি হন তওবাকারী ব্যক্তির উপর। তুমি আমার বান্দা! আর আমি তোমার প্রভু! হযরত আনাস ইবনে মালিক রহমাতুল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বর্ণনা করেছেন আল্লাহ তার মেঘ বান্দা তবা সেই ব্যক্তির চেয়েও বেশি খুশি হন যখন মরুভূমিতে কোন উট গভীরভাবে হারিয়ে যায় এবং তা ফিরে পায়। বুখারি ও মুসলিম

          আল্লাহ খুশি হন তওবাকারী ব্যক্তির উপর 

সাইয়েদুল ইসতেগফার পড়ে তওবা করুন,

অর্থাৎ, ‘হে আল্লাহ! তুমি আমার রব, তুমি ছাড়া অন্য কোন মাবুদ নেই। তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছো। আমি তোমার নেক বান্দা। আমি যথাযথভাবে তোমার সঙ্গে প্রতিজ্ঞা এবং অঙ্কিতার আবদ্ধমান। আমি আমার জীবনের সকল কৃতকর্মের কুফল থেকে তোমার কাছে আশ্রয় চাই। আপনি আপনার সকল নিক নেয়ামত আমাকে দিয়েছেন, তা স্বীকার করেছি। হে আল্লাহ তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও। তুমি ছাড়া আর কোন মাহবুব নাই।


ইসলামিক বার্তা 

লেখক ইকরামুল ইসলাম।


Comments

Popular posts from this blog

সূরা ফাতিহার অর্থ এবং ফজিলত

তারাবির নামাজ না পড়লে রোজা হবে কি ?

বৃদ্ধাশ্রমের বৃদ্ধ বাবা মায়ের জীবন !