বিবেক কাকে বলে

জীবনে অনেক দুঃখ, অনেক কষ্ট, আপনজনরা তাকে মূল্যায়ন করছে না, অথবা প্রিয়জনের কাছে অবহেলার পাত্র হয়ে গিয়েছে ইত্যাদি।
প্রিয় নবী মুহাম্মাদ (সা.)-এর জীবনেও অশান্তি ছিল। ইসলাম প্রচার করতে গিয়ে কষ্ট সহ্য করেছেন, তা কোরআন হাদিস, নবীর (সা.) জীবনী পড়লে জানা যাবে। তখন জীবনের কষ্ট আর কষ্ট মনে হবে না।
আত্মহত্যার পরিণতি কী
মজার ব্যাপার হলো, যারা আত্মহত্যার মাধ্যমে দুনিয়ার অশান্তি থেকে মুক্তি চায়, আসলে কিন্তু তারা তা পায় না। কারণ, মৃত্যুই শেষ কথা নয়। আবার আরেকটি জীবন অপেক্ষা করছে। আল্লাহর বিধান না মানার কারণে সে-জীবনেও সে শান্তির দেখা পাবে না। মৃত্যু তো একদিন আসতই, কিন্তু এই ধরনের ইচ্ছামৃত্যুর কারণে সে নিজেকে পাপী বলে প্রমাণিত করে ফেলেছে। আল্লাহ বলেছেন, ‘প্রত্যেক প্রাণকেই মরণের স্বাদ নিতে হবে তারপর আমারই কাছে তোমাদের ফিরিয়ে আনা হবে।’ (সুরা আনকাবুত, আয়াত: ৫৭)
আত্মহত্যা।
আত্মহত্যাপ্রতীকী ছবি
আত্মহত্যা মানে স্বেচ্ছায় নিজের প্রাণনাশ। ইসলামে আত্মহত্যা মানে আল্লাহর ইচ্ছার বিরুদ্ধাচরণ, মহাপাপ। যে ব্যক্তি আত্মহত্যা করেন, তিনি দাফন-কাফনের যথোপযুক্ত ব্যবস্থা পেতে পারেন না। বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৩০৯ ধারা অনুসারে আত্মহত্যার চেষ্টা করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
মানুষের আত্মহত্যার কারণ খুঁজলে অনেক কিছু চোখে পড়ে। বিশেষ করে একজন প্রচুর কষ্ট পেলে, আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় নারী ও পুরুষ প্রেমে আবদ্ধ হয়ে দুঃখ পেলে, অনেক ক্ষেত্রে জীবনের কঠিন থেকে কঠিনতম সিদ্ধান্ত উপনীত হলে ইত্যাদি।
প্রিয় নবী মুহাম্মাদ (সা.)-এর জীবনেও অশান্তি ছিল। ইসলাম প্রচার করতে গিয়ে কষ্ট সহ্য করেছেন, তা কোরআন হাদিস, নবীর (সা.) জীবনী পড়লে জানা যাবে। তখন জীবনের কষ্ট আর কষ্ট মনে হবে না।
আত্মহত্যার পরিণতি কী
মজার ব্যাপার হলো, যারা আত্মহত্যার মাধ্যমে দুনিয়ার অশান্তি থেকে মুক্তি চায়, আসলে কিন্তু তারা তা পায় না। কারণ, মৃত্যুই শেষ কথা নয়। আবার আরেকটি জীবন অপেক্ষা করছে। আল্লাহর বিধান না মানার কারণে সে-জীবনেও সে শান্তির দেখা পাবে না। মৃত্যু তো একদিন আসতই, কিন্তু এই ধরনের ইচ্ছামৃত্যুর কারণে সে নিজেকে পাপী বলে প্রমাণিত করে ফেলেছে। আল্লাহ বলেছেন, ‘প্রত্যেক প্রাণকেই মরণের স্বাদ নিতে হবে তারপর আমারই কাছে তোমাদের ফিরিয়ে আনা হবে।’ (সুরা আনকাবুত, আয়াত: ৫৭)
আমাদের প্রিয় রাসূল বলেছেন যে ব্যক্তি নিজেকে পাহাড়ের উপর থেকে নিক্ষেপ হয়ে আত্মহত্যা করে সে অবশ্যই জাহান্নামে যাবে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে ব্যক্তি নিজের গলায় লিজে দড়ি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে সে অবশ্যই জাহান্নাম যাবে। অনেক সময় যে ব্যক্তি বিষ পান করে আত্মহত্যা করবে জাহান্নামের সর্বদা ওইভাবে নিজেকে বিষ খেয়ে মারতে থাকবে অনন্ত কাল ধরে। অনেক সময় আবার ধারালো অস্ত্র দিয়ে নিজেকে নিজে বিচ্ছিন্ন করে জাহান্নামের সেই ব্যক্তি অনন্ত জাহান্নামে নিজে বিচ্ছিন্ন করতেই থাকবে । মুসলিম, হাদিস: ১০৯
নিরাশ হওয়া যাবে না
আল্লাহ বলেছেন, ‘বলো, হে আমার বান্দাগণ, তোমরা যারা নিজেদের ওপর জুলুম করেছ, আল্লাহর অনুগ্রহের ব্যাপারে নিরাশ হয়ো না। আল্লাহ সমুদয় পাপ ক্ষমা করে দেবেন। তিনি তো ক্ষমাশীল পরম দয়ালু।’ (সুরা জুমার, আয়াত: ৫৩)
আল্লাহ্ বলেন, ‘আর তোমরা নিজেদের হত্যা করো না। আল্লাহ তো তোমাদের প্রতি পরম দয়ালু। এবং আর যে কেউ বিদ্বেষবশত ও অন্যায়ভাবে তা (আত্মহত্যা) করবে, আমি নিশ্চয় তাকে তাকে আগুনে পোড়াব, আর এ আল্লাহর পক্ষে সহজসাধ্য।’ (সুরা নিসা, আয়াত: ২৯-৩০)
আল্লাহ্ আরও বলেন ‘আর তোমরা নিজেরা নিজেদের সর্বনাশ করো না, আর তোমরা সৎকর্ম করো। আল্লাহ সৎকর্মপরায়ণদের কে ভালোবাসেন।’ (সুরা বাকারা,আয়াত: ১৯৫)
islamicroja
Comments
Post a Comment