Posts

Featured Post

বিবেক কাকে বলে

Image
 ইসলামের বিবেক বলতে বুঝানো হয় মানুষের মূল্যবোধ শক্তি। একজন প্রকৃত মানুষ হতে গেলে তাকে বিশ্বাস, আচরণ, মানসিকতা, সর্বোপরি তো মর্যাদায় পরিপূর্ণ থাকতে হয়  বিবেক: সমাজে এক শ্রেণীর মানুষ আছে তারা সব সময় মানুষের সমালোচনা করে এবং বিবেককে ফাঁকি দেয়। যারা একে অপরকে ঠকায় এবং অর্থ নিয়ে না দেয়ার চেষ্টা করেন এবং বিবেককে ফাঁকি দেয় তখন সমাজে তাকে বিবেকহীন মানুষ বলে।  অন্য দিকে একজন মানুষ প্রকৃত ঈমানদার এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সব পথে চলা অশ্লীল কাজ থেকে বিরত থাকা মানুষকে ঈমানের পথে আনা মানুষকে সঠিক পথে চলার দিকনির্দেশনা অর্থাৎ ইসলামের সঠিক পথ নির্দেশনা দেয় তাকে বিবেকবান মানুষ বলে।  বিবেকের গুরুত্ব: প্রত্যেক শ্রেণীর মানুষ সমাজের জীবনযাপন করে। আপনারা প্রায় খেয়াল করে দেখবেন আপনার প্রতিবেশী আপনাকে পছন্দ করে না। তার মানে এই নয় আপনি সমাজে নষ্ট হয়ে গেছেন অথবা পচে গেছেন। আপনি কোন দিকে টাকা উপার্জন করে পরিবার চালান কিন্তু আপনি কারো ধার ধরেন না। এজন্য আপনার প্রতি বেশি আপনাকে পছন্দ করে না। অনেক সময় আমরা দেখতে পাই মানুষের উন্নতি দেখলে অন্যদের হিংসাক্ত তো মনোভাব হয়। আপনারা প্রায় ল...

আত্মহত্যার পরিনাম

Image
 জীবনে অনেক দুঃখ, অনেক কষ্ট, আপনজনরা তাকে মূল্যায়ন করছে না, অথবা প্রিয়জনের কাছে অবহেলার পাত্র হয়ে গিয়েছে ইত্যাদি। প্রিয় নবী মুহাম্মাদ (সা.)-এর জীবনেও অশান্তি ছিল। ইসলাম প্রচার করতে গিয়ে কষ্ট সহ্য করেছেন, তা কোরআন হাদিস, নবীর (সা.) জীবনী পড়লে জানা যাবে। তখন জীবনের কষ্ট আর কষ্ট মনে হবে না। আত্মহত্যার পরিণতি কী মজার ব্যাপার হলো, যারা আত্মহত্যার মাধ্যমে দুনিয়ার অশান্তি থেকে মুক্তি চায়, আসলে কিন্তু তারা তা পায় না। কারণ, মৃত্যুই শেষ কথা নয়। আবার আরেকটি জীবন অপেক্ষা করছে। আল্লাহর বিধান না মানার কারণে সে-জীবনেও সে শান্তির দেখা পাবে না। মৃত্যু তো একদিন আসতই, কিন্তু এই ধরনের ইচ্ছামৃত্যুর কারণে সে নিজেকে পাপী বলে প্রমাণিত করে ফেলেছে। আল্লাহ বলেছেন, ‘প্রত্যেক প্রাণকেই মরণের স্বাদ নিতে হবে তারপর আমারই কাছে তোমাদের ফিরিয়ে আনা হবে।’ (সুরা আনকাবুত, আয়াত: ৫৭) আত্মহত্যা।                         আত্মহত্যাপ্রতীকী ছবি আত্মহত্যা মানে স্বেচ্ছায় নিজের প্রাণনাশ। ইসলামে আত্মহত্যা মানে আল্লাহর ইচ্ছার বিরুদ্ধাচরণ, মহাপাপ। যে ব্যক্তি আত্মহত্যা কর...

রোজার ফজিলত

Image
 পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, হে মুমিনগণ! তোমাদের জন্য রোজার বিধান দেওয়া হলো, যেমন বিধান তোমাদের পূর্ববর্তীগণকে দেওয়া হয়েছিল, যাতে তোমরা তাকওয়া (আল্লাহভীরুতা) অবলম্বন করতে পারো। (সূরা বাকারা, আয়াত : ১৮৩) রমজানের রোজা সম্পর্কে এক হাদিসে হজরত তালহা ইবনু উবায়দুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত এলোমেলো চুলসহ একজন গ্রাম্য আরব রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এলেন। তারপর বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমাকে বলুন, আল্লাহ তায়ালা আমার উপর কত সালাত ফরজ করেছেন? তিনি বলেন, পাঁচ (ওয়াক্ত) সালাত; তবে তুমি যদি কিছু নফল আদায় কর তা স্বতন্ত্র কথা।  এরপর তিনি বললেন, বলুন, আমার উপর কত সিয়াম আল্লাহ তায়ালা ফরজ করেছেন? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, রমজান মাসের সাওম; তবে তুমি যদি কিছু নফল কর তবে তা স্বতন্ত্র কথা। এরপর তিনি বললেন, বলুন, আল্লাহ আমার উপর কী পরিমান জাকাত ফরজ করেছেন? রাবী বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে ইসলামের বিধান জানিয়ে দিলেন রোজার ফজিলত কি? রমজানের ফজিলত সম্পর্কে ৭ হাদিস কোরআনের যে আয়াতের মাধ্যমে রোজা ফরজ করা হয়েছে কাজের কারণে রোজা রা...

রোজাদারের দিন কীভাবে কাটবে

Image
 রোজাদারের দিন কীভাবে কাটবে পবিত্র মাহে রমজান হচ্ছে মুসলমানদের জন্য অন্যতম একটি প্রশিক্ষণকাল। মুসলমানদের পূর্ণময় জীবনে মাহে রমজান হচ্ছে অন্যতম মাস। পবিত্র মাহে রমজানে একজন রোজাদারের রোজ নামচা কেমন হতে পারে তার সংক্ষেপে ধারণা দেয়া হলো। সকাল আজানের জবাব: একজন মুমিনের দৈনন্দিন জীবন শুরু হয় ফজরের আজান শুনে। সে প্রথমেই আজানের উত্তর দেয় এবং আজানের দোয়া পাঠ করে। আজানের উত্তর প্রদানকারীর ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন কিয়ামতের দিন ওই ব্যক্তি আমার সুপারিশ লাভ করবে। সে সহিহ বুখারি হাদিস : ৬১৪ ফজরের সুন্নত: রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘ফজরের দুই রাকাত সুন্নত দুনিয়া ও তার মধ্যে যা আছে তা থেকে উত্তম।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৭২৫) জামাতে ফজর নামাজ আদায়: রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘রাতের আঁধারে মসজিদে আগমনকারীদের কিয়ামতের দিন পূর্ণ আলো লাভের সুসংবাদ দাও।’ (সুনানে আবি দাউদ, হাদিস: ৫৬১) জিকির ও তাসবিহ পাঠ: ফজরের নামাজের পর পুরুষেরা মসজিদে এবং নারীরা জায়নামাজে বসে জিকির, তিলাওয়াত ও তাসবিহ পাঠ করবেন। কেননা ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) ফজর নামাজ শেষে সূর্য পরিপূর্ণ উদিত হওয়া পর্যন্ত বসে থাকতেন।’ (সুনানে আবি দাউদ) দা...

নবীজি ( সা:)-এর কান্না

Image
 হাসির মতো কান্নাতেও মানুষের ব্যক্তিত্বের প্রকাশ ঘটে। হাসি-কান্না মানুষের এক বিশেষ বৈশিষ্ট্য। এ দুটি মানবতত্ত্বের এক নিগুঢ় রহস্য। আল্লাহ–তায়ালা বলেন, তিনিই হাসান ও কাঁদান। (সুরা নাজম, আয়াত: ৪৩) আল্লাহ্‌ই মানুষের মধ্যে হাসি-কান্নার উপাদান সৃষ্টি করেছেন। কান্নার ধরন কান্নার ধরন অনেক। ভয়ের কান্না, বিরহের কান্না, অসহায়ত্বের কান্না, শোক ও বিষণ্নতার কান্না ইত্যাদি। রাসুল (সা.) স্বাভাবিক মানবীয় প্রকৃতির মতোই কোনো আত্মীয় ও প্রিয়জনের মৃত্যুতে কাঁদতেন। এ ধরনের বহু ঘটনা হাদিসের কিতাবে রয়েছে। ইবনুল কাইয়িম (র.) বলেন, রাসুল (সা.)-এর কান্না ছিল হাসিরই অনুরূপ। তিনি সশব্দে যেমন হাসতেন না, তেমনই শব্দ করে কাঁদতেনও না। কেবল তাঁর দু চোখ দিয়ে অশ্রু ঝরত। (জাদুল মায়াদ, খণ্ড ১, হাদিস: ১৮৩) সন্তান–শোকে কান্না আনাস (রা.) বলেন, (নবী-পুত্র) ইব্রাহিমকে আমি নবীজির(সা.) সামনে মৃত্যুপ্রায় অবস্থায় দেখেছি  নবীজির (সা.) দু চোখ গড়িয়ে পানি পড়তে লাগল। তিনি বললেন, চোখ অশ্রু ঝরায়, হৃদয় বিষণ্ন হয়। আমার প্রতিপালক যে কথায় সন্তুষ্ট, তা-ই আমরা বলি। ইব্রাহিম, তোমার বিচ্ছেদে আমরা ব্যথিত। (বুখারি, হাদিস: ১,৩০৩)] আনাস (রা.) ব...

মহানবী (সা:)-এর শুভাগমন

Image
 আমরা পৃথিবীতে যা কিছু দেখতে পাই একটা সময় পৃথিবী রকম ছিল না। একটিবার ভেবে দেখেন শান্তির সৌন্দর্য জীবন যাপন গবেষণা উদ্ভাবন নিত্য নতুন জীবনকে আরো মধুময় করে তোলে। যা কখনো মানুষ পূর্বে পৃথিবীতে দেখতে পাইনি। মানবজাতি আত্মধ্বংসের দিকে ঝুঁকছিল এবং নিজেদের অপকর্মের কারণে টিকে থাকার সব অধিকার হারিয়েছিল। মানুষ তখন উন্মত্ত ও হিংস্র পশুর মতো আচরণ করেছিল। সব সভ্যতা, সংস্কৃতি, শিল্প, সাহিত্য, শালীনতা, নৈতিকতা এবং নাগরিক আইনকানুন ভেসে গিয়েছিল বাতাসে। সে যুগকে বলা হতো বর্বরতার যুগ। খ্রিষ্টীয় পঞ্চম শতকে এই যুগের উদ্ভব হয়। ইতিহাসবিদ এইচ জি ওয়েলস বলেন, ‘এ সময় বিজ্ঞান ও রাজনৈতিক দর্শনের যেন মরণ হয়েছিল। পৃথিবীতে মানুষ বলতে আর কিছু ছিল না’ (আ শর্ট হিস্টোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড, ১২৪)। রবার্ট ব্রিফল্ট বলেন, ‘বর্বরতার এমন আঁধার ছিল আদিম বন্যতার চেয়েও অনেক বেশি ভয়ংকর ও বীভৎস’ (দ্য মেকিং অব দ্য হিউম্যানিটি, ১৬৪)। জে এইচ ডেনিসন বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলার বালাই ছিল না। নব্য অধিকর্তারা ঐক্য ও শৃঙ্খলার পরিবর্তে বিভাজন ও ধ্বংসের কাজে মগ্ন থাকেন’ (ইমোশন অ্যাজ দ্য বেসিস অব সিভিলাইজেশন, ২৬৫)। ঠিক সেই সময় পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা ...

জান্নাতে কার পায়ের আওয়াজ শুনতে পেয়েছিলেন রাসুল সা:

Image
 মেরাজের রাত্রে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম জান্নাত পরিদর্শনের সময় হযরত বেলাল ইবনে রাবাহ রা: এর পায়ের আওয়াজ শুনতে পেয়েছেন। সেখান থেকে ফিরে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম হযরত বেলাল রা: কে জিজ্ঞেস করেছিলেন বেলাল ইসলাম গ্রহণের পর তুমি এমন কোন কাজ করেছিলে যে কারণে তুমি জান্নাতে পৌঁছে গেলে। কারণ গত রাতে আমি জান্নাতে প্রবেশ পড়ার পর তোমার পায়ের শব্দ শুনতে পেয়েছি।   জান্নাতে কার পায়ের আওয়াজ শুনতে পেয়েছিলেন রাসুল সা: হজরত বেলাল রা: বললেন ইয়া রাসুল আল্লাহ আমি এমন কিছুই করিনি তবে আমি কোন গুনাহের কাজ করলে সঙ্গে সঙ্গে দুই রাকাত নামাজ পড়ি। আর অজু চলে গেলে সঙ্গে সঙ্গে দুই রাকাত নামাজ আদায় করি। কৃষ্ণাঙ্গ সাহাবি হজরত বেলাল (রা.)–র জন্ম মক্কায়। তবে তিনি ছিলেন আবিসিনিয়ার (বর্তমান ইথিওপিয়া) বংশোদ্ভূত। মক্কার প্রভাবশালী কুরাইশ নেতা উমাইয়া ইবনে খালফের ক্রীতদাস ছিলেন তিনি। কুরাইশদের চোখে ক্রীতদাস হিসেবে বেলালের রা. পবিত্র ইসলাম গ্রহণ ছিল চরম দৃষ্টতা। পর্যায়ক্রমে শত বছরের বিশ্বাস চিন্তা অভিজাতদের প্রতি চরম আঘাত হানে। হজরত বেলাল রা: এর মনির উমাইয়া ইসলাম গ্রহণের কথা জানতে ...