Posts

Showing posts from February, 2025

Featured Post

বিবেক কাকে বলে

Image
 ইসলামের বিবেক বলতে বুঝানো হয় মানুষের মূল্যবোধ শক্তি। একজন প্রকৃত মানুষ হতে গেলে তাকে বিশ্বাস, আচরণ, মানসিকতা, সর্বোপরি তো মর্যাদায় পরিপূর্ণ থাকতে হয়  বিবেক: সমাজে এক শ্রেণীর মানুষ আছে তারা সব সময় মানুষের সমালোচনা করে এবং বিবেককে ফাঁকি দেয়। যারা একে অপরকে ঠকায় এবং অর্থ নিয়ে না দেয়ার চেষ্টা করেন এবং বিবেককে ফাঁকি দেয় তখন সমাজে তাকে বিবেকহীন মানুষ বলে।  অন্য দিকে একজন মানুষ প্রকৃত ঈমানদার এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সব পথে চলা অশ্লীল কাজ থেকে বিরত থাকা মানুষকে ঈমানের পথে আনা মানুষকে সঠিক পথে চলার দিকনির্দেশনা অর্থাৎ ইসলামের সঠিক পথ নির্দেশনা দেয় তাকে বিবেকবান মানুষ বলে।  বিবেকের গুরুত্ব: প্রত্যেক শ্রেণীর মানুষ সমাজের জীবনযাপন করে। আপনারা প্রায় খেয়াল করে দেখবেন আপনার প্রতিবেশী আপনাকে পছন্দ করে না। তার মানে এই নয় আপনি সমাজে নষ্ট হয়ে গেছেন অথবা পচে গেছেন। আপনি কোন দিকে টাকা উপার্জন করে পরিবার চালান কিন্তু আপনি কারো ধার ধরেন না। এজন্য আপনার প্রতি বেশি আপনাকে পছন্দ করে না। অনেক সময় আমরা দেখতে পাই মানুষের উন্নতি দেখলে অন্যদের হিংসাক্ত তো মনোভাব হয়। আপনারা প্রায় ল...

নবীজি ( সা:)-এর কান্না

Image
 হাসির মতো কান্নাতেও মানুষের ব্যক্তিত্বের প্রকাশ ঘটে। হাসি-কান্না মানুষের এক বিশেষ বৈশিষ্ট্য। এ দুটি মানবতত্ত্বের এক নিগুঢ় রহস্য। আল্লাহ–তায়ালা বলেন, তিনিই হাসান ও কাঁদান। (সুরা নাজম, আয়াত: ৪৩) আল্লাহ্‌ই মানুষের মধ্যে হাসি-কান্নার উপাদান সৃষ্টি করেছেন। কান্নার ধরন কান্নার ধরন অনেক। ভয়ের কান্না, বিরহের কান্না, অসহায়ত্বের কান্না, শোক ও বিষণ্নতার কান্না ইত্যাদি। রাসুল (সা.) স্বাভাবিক মানবীয় প্রকৃতির মতোই কোনো আত্মীয় ও প্রিয়জনের মৃত্যুতে কাঁদতেন। এ ধরনের বহু ঘটনা হাদিসের কিতাবে রয়েছে। ইবনুল কাইয়িম (র.) বলেন, রাসুল (সা.)-এর কান্না ছিল হাসিরই অনুরূপ। তিনি সশব্দে যেমন হাসতেন না, তেমনই শব্দ করে কাঁদতেনও না। কেবল তাঁর দু চোখ দিয়ে অশ্রু ঝরত। (জাদুল মায়াদ, খণ্ড ১, হাদিস: ১৮৩) সন্তান–শোকে কান্না আনাস (রা.) বলেন, (নবী-পুত্র) ইব্রাহিমকে আমি নবীজির(সা.) সামনে মৃত্যুপ্রায় অবস্থায় দেখেছি  নবীজির (সা.) দু চোখ গড়িয়ে পানি পড়তে লাগল। তিনি বললেন, চোখ অশ্রু ঝরায়, হৃদয় বিষণ্ন হয়। আমার প্রতিপালক যে কথায় সন্তুষ্ট, তা-ই আমরা বলি। ইব্রাহিম, তোমার বিচ্ছেদে আমরা ব্যথিত। (বুখারি, হাদিস: ১,৩০৩)] আনাস (রা.) ব...

মহানবী (সা:)-এর শুভাগমন

Image
 আমরা পৃথিবীতে যা কিছু দেখতে পাই একটা সময় পৃথিবী রকম ছিল না। একটিবার ভেবে দেখেন শান্তির সৌন্দর্য জীবন যাপন গবেষণা উদ্ভাবন নিত্য নতুন জীবনকে আরো মধুময় করে তোলে। যা কখনো মানুষ পূর্বে পৃথিবীতে দেখতে পাইনি। মানবজাতি আত্মধ্বংসের দিকে ঝুঁকছিল এবং নিজেদের অপকর্মের কারণে টিকে থাকার সব অধিকার হারিয়েছিল। মানুষ তখন উন্মত্ত ও হিংস্র পশুর মতো আচরণ করেছিল। সব সভ্যতা, সংস্কৃতি, শিল্প, সাহিত্য, শালীনতা, নৈতিকতা এবং নাগরিক আইনকানুন ভেসে গিয়েছিল বাতাসে। সে যুগকে বলা হতো বর্বরতার যুগ। খ্রিষ্টীয় পঞ্চম শতকে এই যুগের উদ্ভব হয়। ইতিহাসবিদ এইচ জি ওয়েলস বলেন, ‘এ সময় বিজ্ঞান ও রাজনৈতিক দর্শনের যেন মরণ হয়েছিল। পৃথিবীতে মানুষ বলতে আর কিছু ছিল না’ (আ শর্ট হিস্টোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড, ১২৪)। রবার্ট ব্রিফল্ট বলেন, ‘বর্বরতার এমন আঁধার ছিল আদিম বন্যতার চেয়েও অনেক বেশি ভয়ংকর ও বীভৎস’ (দ্য মেকিং অব দ্য হিউম্যানিটি, ১৬৪)। জে এইচ ডেনিসন বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলার বালাই ছিল না। নব্য অধিকর্তারা ঐক্য ও শৃঙ্খলার পরিবর্তে বিভাজন ও ধ্বংসের কাজে মগ্ন থাকেন’ (ইমোশন অ্যাজ দ্য বেসিস অব সিভিলাইজেশন, ২৬৫)। ঠিক সেই সময় পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা ...

জান্নাতে কার পায়ের আওয়াজ শুনতে পেয়েছিলেন রাসুল সা:

Image
 মেরাজের রাত্রে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম জান্নাত পরিদর্শনের সময় হযরত বেলাল ইবনে রাবাহ রা: এর পায়ের আওয়াজ শুনতে পেয়েছেন। সেখান থেকে ফিরে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম হযরত বেলাল রা: কে জিজ্ঞেস করেছিলেন বেলাল ইসলাম গ্রহণের পর তুমি এমন কোন কাজ করেছিলে যে কারণে তুমি জান্নাতে পৌঁছে গেলে। কারণ গত রাতে আমি জান্নাতে প্রবেশ পড়ার পর তোমার পায়ের শব্দ শুনতে পেয়েছি।   জান্নাতে কার পায়ের আওয়াজ শুনতে পেয়েছিলেন রাসুল সা: হজরত বেলাল রা: বললেন ইয়া রাসুল আল্লাহ আমি এমন কিছুই করিনি তবে আমি কোন গুনাহের কাজ করলে সঙ্গে সঙ্গে দুই রাকাত নামাজ পড়ি। আর অজু চলে গেলে সঙ্গে সঙ্গে দুই রাকাত নামাজ আদায় করি। কৃষ্ণাঙ্গ সাহাবি হজরত বেলাল (রা.)–র জন্ম মক্কায়। তবে তিনি ছিলেন আবিসিনিয়ার (বর্তমান ইথিওপিয়া) বংশোদ্ভূত। মক্কার প্রভাবশালী কুরাইশ নেতা উমাইয়া ইবনে খালফের ক্রীতদাস ছিলেন তিনি। কুরাইশদের চোখে ক্রীতদাস হিসেবে বেলালের রা. পবিত্র ইসলাম গ্রহণ ছিল চরম দৃষ্টতা। পর্যায়ক্রমে শত বছরের বিশ্বাস চিন্তা অভিজাতদের প্রতি চরম আঘাত হানে। হজরত বেলাল রা: এর মনির উমাইয়া ইসলাম গ্রহণের কথা জানতে ...

কালিমা শাহাদাত সত্য সাক্ষ্য

Image
ইসলাম হলো সত্যকে গ্রহণ করা আর মিথ্যা কে পরিহার করা। কালিমা শব্দের অর্থ হলো ঈমান এবং বিশ্বাস করা। অর্থাৎ ঈমান বা বিশ্বাসের মূল কথা হলো খালিফা। কালিমা শাহাদাত হলো ঈমানের পঞ্চ ভিত্তি। কালিমা অর্থ বাণী বা বাক্য। আর শাহাদাত অর্থ হচ্ছে সাক্ষ্য দেয়া। কালিমা শাহাদাত ফারসিতে হয় ‘কালেমায়ে শাহাদাত’; মূল আরবিতে হবে ‘কালেমাহ শাহাদাত’ বা ‘আল কালিমাতুশ শাহাদাত’।                                    কালিমা শাহাদাতের সত্য সাক্ষ্য। কালিমা শাহাদাত কালিমা শাহাদাতে এই ঘোষণাই দেওয়া হয়, ‘আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু; ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু। কালিমা শাহাদাত এর অর্থ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে আল্লাহ ব্যতীত কোন মাবুদ নেই। তিনি এক এবং একক তার কোন শরীর অথবা অংশীদার নেই। আমি পক্ষান্তরে আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি নিশ্চয়ই হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম তার পিও বান্দা রাসুল। সাক্ষ্য দেওয়ার পূর্বশর্ত হলো প্রত্যক্ষ করা বা স্বচক্ষে অবলোকন করা বা দেখা। মহান আল্লাহ তায়ালা এমনই পরম সত্য, ...

ধৈর্য কাকে বলে

Image
 ধৈর্য কাকে বলে হযরত আনাস ইবনে মালিক রা: এর কাছ থেকে একটি হাদিস শরীফ উল্লেখ করেছেন হযরত আবু তালহা রা: এর এক ছেলে একবার অসুস্থ হয়ে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে আবু তালহা রা: বাইরে গেলে, সে সময় ছেলেটি মারা যায়। তিনি জানতে চাইছিলেন ছেলেটি কি করেছে। অর্থাৎ তার স্ত্রী হযরত উম্মে সোলায়মান রা: বলেন সে আগের চাইতে শান্ত প্রকৃতির। এরপর তাকে রাত্রে খাবার দিলেন। তিনি খাদ্য গ্রহণের পরে উম্মে সোলায়মানের সঙ্গে সঙ্গ দিলেন। এরপর উম্মে সুলাইমান বললেন ছেলেকে দাফন করে এসো।                               ধৈর্যশীল ব্যক্তি আল্লাহর পছন্দ করেন সূর্য উদয় এবং সকাল হলে আবু তালহা রা: এর কাছে এসে ঘটনাটি খুলে বললেন। হযরত রাসূল সাল্লাহু সাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন গতরাতে তুমি কি তোমার স্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন। উত্তরে তিনি বললেন হ্যাঁ। নবী সা. বললেন, ইয়া আল্লাহ! তাদের জন্য তুমি বরকত দান করো।’ এরপর উম্মে সুলায়ম (রা.) একটি সন্তান প্রসব করলেন। নবী (সা.) শিশুটিকে কোলে নিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ওর সঙ্গে কি কিছু আছে? তাঁরা বললেন, হ্যাঁ। খেজুর আছে। রাসুল (সা.) খে...

শুক্রবারে জুমার গুরুত্ব

Image
 মুসলমানদের জন্য যেখানে মসজিদে জুম্মার নামাজ অনুষ্ঠিত হয় তাহাকে জুম্মার মসজিদ বলা হয়। জুমা শব্দটি জমা শব্দ থেকে এসেছে। এর পূর্ণাঙ্গ অর্থ হলো একত্র হওয়া এবং একত্র করা।                                           শুক্রবারে জুমার গুরুত্ব পবিত্র কোরআন মাজিদের সূরা জুমা নামে একটি সূরা রয়েছে। ‌এতে বলা হয়েছে হেই মান্দারগণ এবং বিশ্বাসীগণ জুমার দিনে যখন জুমায় আজান হয় তখন তোমরা আল্লাহকে মনে রেখো এবং দুনিয়াবি কাজকর্ম সব বন্ধ করো। এটা তোমাদের জন্য বর্কত এবং ভালো। যদি তোমরা বুঝতে চেষ্টা করো। নামাজ শেষ হলে আবার তোমরা কর্ম করো। সুরা জুমা, আয়াত: ৯-১০। জুমার তাৎপর্য                      শুক্রবারে জুম্মার গুরুত্ব তাফসিরবিদেরা বলেন, সুরা জুমার আগের সুরার নাম হলো সুরা ‘সফ’। সফ অর্থ কাতার বা সারি। জুমার নামাজ সারিবদ্ধভাবে আদায় করা হয়। এতে ঐক্য ও শৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়, এতে এই ইঙ্গিত রয়েছে। সুরা জুমার পরের সুরা হলো মুনাফিকুন। এই সুরায় ইঙ্গি...

ক্ষমা পাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ শবে বরাত

Image
 মুসলমানদের অন্যতম একটি ভাগ্য রজনীর রাত হচ্ছে শবে বরাত। এই রাতকে বলা হয় বরকতময় রাত। পবিত্র আল কুরআনে বলা হয়েছে আল্লাহ তাআলা এই রাতে বান্দাদের বিশেষভাবে ক্ষমা করেন এবং রহমতের দরজা খুলে দেন।               শবে বরাত ক্ষমা পাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ শবে বরাত শব্দের অর্থ হলো মুক্তির রাত। এই মাস মূলত ১৪ ই সাবান দিবাগত রাত। হাদীস শরীফে এসেছে শবে বরাতের রাতে আল্লাহ তাআলা দুনিয়ার আকাশে নেমে এসে ঘোষণা করেন আছে কি কোন আমার বান্দা ক্ষমা প্রার্থী। আমি তাকে ক্ষমা করে দেবো। আছে কি কোন রিজিক প্রার্থী। আমি তাকে রিজিকের ফয়সালা করে দেবো। আছে কোন বিপদগ্রস্ত বান্দা আমি তাকে নিশ্চয়ই মুক্তি দিবো। ইবনে মাজাহ: ১৩৮৮ এ রাতে বান্দারা নিজেদের গুনাহের জন্য ক্ষমা চাইলে আল্লাহ তাদের ক্ষমা করে দেন এবং দোয়া কবুল করেন। শবে বরাতে করণীয় আমল এই রাতটি ইবাদতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই কিছু আমল করলে দুনিয়া ও আখিরাতে উপকার পাওয়া যাবে— নফল নামাজ: শবে বরাতে নফল নামাজ পড়ার বিশেষ ফজিলত রয়েছে। দুই রাকাত করে যত পারেন নামাজ আদায় করুন।          বান্দার ক্ষমা পাও...

রাতের শেষ প্রহরে রাসুল সা: কি আমল করতেন

Image
 রাসুলুল্লাহ (সা.) যেসব কাজ করতেন আবু হুরায়রা (রা.)–র বিবরণে আছে যে রাসুল (সা.) বলেন,  তোমাদের কেউ যখন ঘুমিয়ে পড়ে তখন শয়তান তার ঘাড়ের পেছনের অংশে তিনটি গেরো দেয়। প্রতি গেরোতে সে এই বলে চাপড়ায়, তোমার সামনে রয়েছে দীর্ঘ রাত, অতএব তুমি শুয়ে থাকো। এর পর সে যদি জেগে উঠে আল্লাহকে স্মরণ করে তাহলে একটি গেরো খুলে যায়, এরপর অজু করলে আরেকটি গেরো খুলে যায়। তারপর নামাজ আদায় করলে আরও একটি গেরো খুলে যায়। তখন তার ভোর হয়, উৎফুল্ল মনে ও অনাবিল চিত্তে। নইলে সে সকালে জাগে কলুষ কালিমা ও আলস্য নিয়ে। (বুখারি, হাদিস: ১,১৪২; মুসলিম, হাদিস: ৭৬৩)                    শেষ রাতে নবীজির আমল অজুর শুরুতে রাসুল (সা.) বিসমিল্লাহ পড়তেন। রাসুল (সা.) বলেন, অজুর শুরুতে যে ব্যক্তি আল্লাহর নাম না নেবে, তার অজু পরিপূর্ণ হবে না। (তিরমিজি, হাদিস: ২৫) রাসুল (সা.) অজুর মধ্যখানে একটি দোয়া পড়তেন। দোয়াটি হলো: আল্লাহুমমাগফিরলি জানবি ওয়া ওয়াসসিয়লি ফি দারি ওয়া বারিকলি ফি রিজকি। এর অর্থ: হে আল্লাহ! আমার গোনাহগুলো ক্ষমা করুন, আমার ঘর প্রশস্ত করে দিন, আমার রিজিক প্রশস্ত করে দিন। (নাসা...

সূরা ফাতিহার অর্থ এবং ফজিলত

Image
 পবিত্র কোরআন শরীফের প্রথম সূরা ফাতিহা। ফাতিহা আরবি শব্দের বাংলা অর্থ হলো সূচনা বা শুরু করা, প্রারম্ভিকা। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জন্য যেকোনো সূরা পড়ার আগে এটি পাঠ করতে হয় অর্থাৎ এর মানে হলো প্রত্যেক নামাজ শুরুর আগে এটি প্রথম পাঠ করে অন্যান্য সূরা পাঠ করতে হয়।                   সূরা ফাতিহার অর্থ ও ফজিলত সুরা ফাতিহা হচ্ছেএমন একটি সুরা যখন কোন ব্যক্তি নামাজে এর একটি করে আয়াত পড়তে থাকে আল্লাহ পাক রব্বুল আলামিন সঙ্গে সঙ্গে সেই আয়াতের জবাব দিয়ে থাকেন। এই সূরার মাধ্যমে আল্লাহপাক বান্দাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থা করেছেন। বাংলা উচ্চারণ : আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন। আর রাহমানির রাহিম মালিকি ইয়াওমিদ্দিন ইয়্যাকা নাবুদু ওয়া ইয়্যাকা নাস্তায়িন ইহদিনাছ ছিরাতল মুস্তাকিম, ছিরাতল্লাজিনা আনআমতা আলাইহিম, গয়রিল মাগদুবি আলাইহিম ওয়ালাদ্দল্লিন। ৭.যারা (তোমার) রোষে পতিত হয়নি, পথভ্রষ্ট হয়নি। সুরা ফাতেহা মোট সাতটি আয়াতের মধ্যে প্রথম তিনটি আয়াতের রয়েছে একমাত্র আল্লাহর পরিচয়। এবং শেষ তিনটি আয়াতে বলা হয়েছে বান্দার প্রার্থনা ও আল্লাহর নিকট।  ...

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ যেভাবে এলো

Image
 মেরাজের কথা কম-বেশি সবারই জানা। মেরাজের সফরে আল্লাহ তাআলা উম্মতে মুহাম্মাদির জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করে দিয়েছেন। ইসলামের ইতিহাসে হাদিসের বর্ণনায় সে ঘটনা সুন্দর ভাবে ফুটে ওঠেছে। কীভাবে ফরজ হয়েছিল পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ?           পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ যেভাবে ফরজ হলো হাদিসের দীর্ঘ বর্ণনায় নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ হওয়ার বিষয়টি সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ হলো যেভাবে মেরাজের কথা কম-বেশি সবারই জানা। মেরাজের সফরে আল্লাহ তাআলা উম্মতে মুহাম্মাদির জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করে দিয়েছেন। ইসলামের ইতিহাসে হাদিসের বর্ণনায় সে ঘটনা সুন্দর ভাবে ফুটে ওঠেছে। কীভাবে ফরজ হয়েছিল পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ? হাদিসের দীর্ঘ বর্ণনায় নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ হওয়ার বিষয়টি সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন-               যেভাবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ এলো হজরত ইবনে হায্ম ও আনাস ইবনে মালেক রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন যে ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ...আল্লাহ আমার উম্মতের ওপর...

ঘুমানোর আগে কিছু আমল

Image
 ঘুমানোর আগে কিছু আমল  অনেক সময় রাতে দেরিতে ঘুমাতে গেলে ফজরের নামাজের সময় উঠতে পারে না। এমনকি ফজরের নামাজ জামাতের সহিত আদায় করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। কিভাবে এই সমস্যা আমরা সমাধান করতে পারি। ফজরের নামাজ যাতে কাজা না হয় এ ধরনের কয়েকটি কৌশল উল্লেখ করা হলো।        ঘুমানোর আগে অবশ্যই কিছু আমল করতে হয় যখন কোন ব্যক্তি ঘুমানোর আগে অথবা ঘুমাতে যাবে সে ক্ষেত্রে কিছু আমল করে নেওয়া অনেক ভালো। এরকম আমল নিজের মত তৈরি করে নেয়া যেতে পারে ইনশাআল্লাহ। এক্ষেত্রে উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে ঘুমানোর আগে আপনি সুরা ফাতেহা, দরুদ শরীফ, সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক, সূরা নাস এরকম ভাবে আপনি অনেক সূরা পাঠ করতে পারেন। মুসলমান হিসেবে প্রত্যেক ব্যক্তিকে ঘুমানোর আগে ওযু করে নিতে হয়। খাওয়া-দাওয়া করে প্রত্যেক ব্যক্তি কে ঘুমাতে গেলে ডান দিকে রাত হয়ে ঘুমাতে হয় এক্ষেত্রে ঘুমানো ব্যক্তি অনেক সময় দেখা যায় ডান হাত গালের নিচে রাখে। হাদিসে এসেছে কোন ব্যক্তি ডান হাত গালের নিচে রেখে ঘুমানো ভালো। প্রত্যেক মুসলমানদের উচিত ঘুমানোর আগে দোয়া করা উদাহরণস্বরূপ হে আল্লাহ আমি যেন ফজরের নামাজ জামাতের...

ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরামের ফজিলত

Image
 মহান আল্লাহর গুণবাচক নাম গুলোর মধ্যে হচ্ছে যাল জালালি ওয়াল ইকরাম। মহান আল্লাহকে ডাকার সময় ইয়া যুক্ত করে বলতে হবে।        ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরামের ফজিলত  নবীজি (সা.) এক হাদিসে বলেছেন, ‘তোমরা সব সময় ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম পড়াকে অপরিহার্য করে নাও (তিরমিজি, হাদিস: ৩,৫২৫)। অর্থাৎ সব সময় এই নাম পড়ার প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নবীজি (সা.) নামাজ আদায়ের পরে বসা অবস্থায় বলতেন, ‘আল্লাহুম্মা আনতাস সালাম ওয়া মিনকাস সালাম তাবারাকতা ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম।’ অর্থাৎ ‘হে আল্লাহ, আপনি সালাম (শান্তি নিরাপত্তা প্রদানকারী, আপনার পক্ষ থেকেই সালাম (শান্তি ও নিরাপত্তা) আসে। আপনি বরকতময়, হে মহিমময় মহানুভব। (মুসলিম, হাদিস: ৫৯১-৫৯২) মহান আল্লাহর 99 নামের মধ্যে একটি নাম হল ইয়া জালালি ওয়াল ইকরাম ইসমে আজম বড় নাম আর জালাল শব্দের অর্থ হচ্ছে মর্যাদাবান পক্ষান্তরে ইকরাম শব্দের অর্থ হচ্ছে সম্মানিত। আল্লাহকে অনেক বড় এবং শ্রেষ্ঠ প্রকাশ করার জন্য এগুলো নামে ডাকা হয়। আর এগুলোকে বলা হয় ইজমে আজম। পবিত্র আল কুরআনে এই নামটি দুবার এসেছে। সুরা আর রহমানের ২৭ নম্বর ও ৭৮ ন...

তাওবা করলে আল্লাহ খুশি হন

Image
 যেকোনো ব্যক্তি যদি কোন অন্যায় কাজ এবং অন্যের ক্ষতি করে তাহলে তাকে নিশ্চয়ই আল্লাহর কাছে তওবা করতে হবে অথবা ক্ষমা চাইতে হবে। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে ক্ষমা অথবা তওবা করল আল্লাহ তার উপর খুশি হলো আনন্দ মুহূর্ত হলো। আল্লাহ তার বান্দাদেরকে সবাইকে অন্যায়ের ক্ষমা করার তওবা কথা বলেছেন এবং নির্দেশ দিয়েছেন। যে ব্যক্তি অন্যায় করার পর সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহর কাছে তওবা করে আল্লাহ তাকে মন থেকে ভালোবাসে এবং তওবাকারীকে আল্লাহর নেক নেয়ামত দেন।                তাওবা কারীকে আল্লাহ পছন্দ করেন পবিত্র আল কুরআনের হাদিসে বর্ণিত হয়েছে বাহ একজন বান্দা তব আল্লাহর সেই ব্যক্তির চেয়ে খুশি হন কোন মরুভূমিতে একটা উট হারিয়ে গেছে অনেক খোঁজাখুঁজির পর লোকটি হতাশ না হয়েও তা দেখতে পান। আল্লাহ এত পরিমাণ খুশি হন তওবাকারী ব্যক্তির উপর। তুমি আমার বান্দা! আর আমি তোমার প্রভু! হযরত আনাস ইবনে মালিক রহমাতুল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বর্ণনা করেছেন আল্লাহ তার মেঘ বান্দা তবা সেই ব্যক্তির চেয়েও বেশি খুশি হন যখন মরুভূমিতে কোন উট গভীরভাবে হারিয়ে যায় এবং তা ফিরে পায়। বুখারি ও মুসলিম ...

ইয়ামিন এবং বিলকিস এক নারীর গল্প

Image
 আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পবিত্র কুরআনের বিলকিস এবং ইয়েমেনের একজন নারীর গল্প বলেছেন। বিলকিস ছিলেন একজন হযরত সুলাইমান আলাইহিস সাল্লামের যুগে  বিস্তৃত এক অঞ্চলের সম্রাজ্ঞী ছিলেন। হযরত সোলায়মান আলাইহিস সালাম তিনি বিলকিসের সাম্রাজ্যের কথা কোনভাবেই জানতেন না। এক দিন তিনি তাঁর গোয়েন্দা পাখি হুদহুদের মাধ্যমে জানতে পারেন কারো আনুগত্য স্বীকার না করে বিলকিস বিস্তীর্ণ একটি অঞ্চল শাসন করতেছেন। তিনি তাঁকে আত্মসমর্পণের জন্য আহ্বান করলেন। কোরআনের সুরা নমলের ২৪টি আয়াতে আল্লাহ ঘটনাটি তুলে ধরেছেন। কোরআনের ভাষ্যে ঘটনাটি বর্ণনা করা যাক।                             এক নারীর গল্প পবিত্র আল কুরআনে আছে হুদহুদ পাখি দ্রুত এসে আমাকে বলল আমি এমন কিছু গোপন তথ্য নিয়ে এসেছি আপনার তা কখনোই জানা নাই। আমি ওই অঞ্চলে এমন এক নারীকে দেখলাম সে রাজত্ব চালাচ্ছেন । পাখি ওই অঞ্চলের সবকিছু দেয়া হয়েছে এবং বিরাট সিংহাসনের উত্তরাধিকারী হিসেবে গন্য করা হয়েছে। এবং ওই অঞ্চলে জাতির উপর রাজত্ব করছে। আমি তাকে ও তার সম্প্রদায়কে দেখলাম তারা আল্লাহর পরিবর্তে ...

ঈমানের পরীক্ষা ও জীবনের পরিণাম

Image
 ঈমানের পরীক্ষা ও জীবনের পরিণাম নিয়ে শিক্ষণীয় ঘটনা : মানুষের জীবন চলার পথে নানান পরীক্ষা আসে। কেউ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়, আবার কেউ বিভ্রান্তির পথে পা বাড়ায়। ঈমানের স্থায়িত্ব এবং জীবনের শেষ পরিণতি কেমন হবে, তা একমাত্র আল্লাহই জানেন। ইতিহাসে এমন অনেক ঘটনা আছে, যা আমাদের শিক্ষা দেয় যে, কোনো ব্যক্তি মুসলিম অবস্থায় শুরু করলেও শেষ পর্যন্ত তার ঈমান বজায় থাকবে কি না, তা নিশ্চিত নয়। ইমাম শামসুদ্দীন আস-সাফিরী রহ. এমনই একটি হৃদয়স্পর্শী ঘটনা উল্লেখ করেছেন, যা আমাদের জন্য গভীর শিক্ষার উৎস হতে পাপরীক্ষা ।                              ঈমানের পরীক্ষা  বন্ধুর কবর দেখতে গেলে তারা তার স্ত্রী ও সন্তানদের পায়।  বন্ধুর কবর দেখতে গেলে তারা তার স্ত্রী ও সন্তানদের পায়। তিনজন ধর্মপ্রাণ বন্ধু হজের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন। পথে এক গ্রামে রাত্রিযাপন করার সময় তাদের একজন এক খ্রিষ্টান নারীর প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ে। প্রেমের মোহে সে ইসলাম ত্যাগ করে খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করে আর সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। তার বাকি দুই ...

বাবা ছেলের বিদায়ের ঘটনা

Image
 বাবা-ছেলের বিদায়ের ঘটনা হজরত ওমর (রা.)-এর খিলাফতকালীন একটি বছরকে বলা হতো ‘আম উর রামাদা’ বা ‘ছাইয়ের বছর’। সেটি ছিল হিজরির অষ্টাদশ বছর। অর্থাৎ মহানবী (সা.)-এর ইন্তেকালের সাত বছর পর।                 বাবা ছেলের শেষ বিদায়ের ঘটনা  সে বছর সিরিয়া ও তার আশপাশের অঞ্চলে প্লেগের সংক্রমণ শুরু হয়। প্লেগে আক্রান্ত হয়ে অনেক খ্যাতনামা সাহাবি মৃত্যুবরণ করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন হজরত উবায়দা (রা.) এবং হজরত আবু মালিক আর আশয়ারী (রা.) মতো সাহাবিরা। বিখ্যাত সাহাবি হজরত মুয়াজ ইবনে জাবাল (রা.) এই প্লেগ এ আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেছিলেন। মৃত্যুর সময় মুয়াজ (রা.)-এর বয়স হয়েছিল মাত্র ৩৩ বছর। জীবিত অবস্থায় তিনি ছিলেন আরবের মুফতি। তিনি ওহি লেখকের দায়িত্বও পালন করেছেন। মহানবী (সা.) নিজেই তাঁকে বলেছিলেন, ‘হে মুয়াজ, আমি তোমাকে খুবই ভালোবাসি।’ আল্লাহ, আপনি মুয়াজ ও তাঁর পরিবারকে আপনার রহমতের সবচেয়ে বড় অংশটি দান করুন।’ মুয়াজ (রা.) ঠিকই বুঝেছিলেন, আল্লাহর রহমতের সবচেয়ে বড় অংশ তাঁরাই পাবেন, যাঁরা দুনিয়াতে কষ্টের ভেতর থাকেন। কিছুদিনের মধ্যেই মুয়াজ (রা.)-এর প্রিয়তম সন্তান আব...

সহবাস করে ফরজ গোসল না করা পর্যন্ত পাঁচটি কাজ নিষিদ্ধ

Image
 একজন পুরুষ স্ত্রী সহবাসের পর ফরজ গোসল না করা পর্যন্ত পাঁচটি কাজ কখনো করা যাবে না। ১. নামাজ আদায় করা নিষিদ্ধ, ২. তাওয়াফ করা নিষিদ্ধ, ৩. মসজিদে অবস্থান করা নিষিদ্ধ, ৪. কোরআন স্পর্শ করা নিষিদ্ধ, ৫. কোরআন তিলাওয়াত করা নিষিদ্ধ। এর বাইরে অন্যান্য কাজ গোসল ফরজ অবস্থায় নিষিদ্ধ নয়।                                 স্ত্রী কে সহবাস গোসল ফরজ অবস্থায় নারীদের জন্য শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানো, রান্না করা, খাবার খাওয়া, ঘুমানোসহ অন্যান্য স্বাভাবিক কাজকর্ম করা জায়েজ। তবে গোসল ফরজ অবস্থায় এ সব কাজের আগে অজু করে নেওয়া মুস্তাহাব। উম্মুল মুমিনীন আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যখন গোসল ফরজ অবস্থায় ঘুমাতে চাইতেন, তখন তিনি নামাজের জন্য অজু করার মতো করে অজু করতেন, তারপর ঘুমাতেন। (সহিহ মুসলিম: ৩০৫) গোসল ফরজ অবস্থায় দোয়া-দরুদ, জিকির, তাসবিহ পড়াও জায়েজ। কোরআনে উল্লিখিত দোয়াগুলোও পড়া জায়েজ। মা’মার (রহ.) বলেন, আমি ইমাম জুহরিকে (রহ.) জিজ্ঞাসা করলাম, যার উপর গোসল ফরজ সে কি আল্লাহর জিকির ...